কিংবদন্তি কণ্ঠযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মৃত্যুর গুজব

বিনোদন ডেস্ক:

কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তার মৃত্যুর গুজব।

শুক্রবার মধ্যরাতে খবরটি গুজব বলে নিশ্চিত করেছেন ফকির আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর ও মেজো ছেলো মাসুক আলমগীর রাজীব।

সুরাইয়া আলমগীর জানান, বুধবার (১৪ জুলাই) ফকির আলমগীরের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন ফকির আলমগীর।

মাসুক আলমগীর রাজীব জানান, ফকির আলমগীর নন- মারা গেছেন তার ছোট ভাই ফকির সিরাজের স্ত্রী। তার মৃত্যুর খবরটিই অনেকে ফকির আলমগীরের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছেন৷

ফকির আলমগীর আগের চেয়ে ভালো আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বাবার যে প্লাজমা দরকার তা পাওয়া গেছে। আইসিইউতে থাকলেও চেতনা আছে। হাঁটাচলাও করতে পারছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজেই হেঁটে বাথরুমে গিয়েছেন। অক্সিজেন খুলে নিলে একটু সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া সবমিলিয়ে ভালো আছেন।

বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে এবং কোনো কিছু নিশ্চিত না হয়ে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন মাসুক আলমগীর রাজীব।

ফকির আলমগীর একজন কণ্ঠযোদ্ধা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। অবশ্য এর আগে ষাটের দশক থেকেই গণসংগীত গেয়ে আসছিলেন তিনি। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখেন তিনি।

স্বাধীনতার পর ফকির আলমগীর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন। পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে বাংলার লোকজ সুরের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি বহু গান করেছেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)