সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমন পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারন করছে-উপসর্গ নিয়ে মৃত-৪

আসাদুজ্জামান:

সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমন পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারন করছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো চার জন মারা গেছেন। এরমধ্যে তিন জন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও একজন বেসরকারি হাসপাতালে (ন্যাশনাল হাসপাতালে)। এছাড়া জেলায় ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা শেষে এক’ শ’ জন পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা সংক্রমনের হার ৫৩ শতাংশ। এদিকে, জেলা শহর ও গ্রাম অ লে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ¦র ও শ^াসকষ্ট নিয়ে ভুগছেন অধিকাংশ মানুষ। জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ টি বেড থাকলেও সেখানে ভারাসটিতে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৬৫ জন। বেড না পেয়ে অনেকেই সেখান থেকে অন্যত্র গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে, চলমান লকডাউনে তেমন কোন সফলতা না পাওয়ায় করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ না হয়ে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।

গত ৫ জুন থেকে চলমান দুই সপ্তাহব্যাপী লকডাউনে নানা অজুহাতে মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। হাটে বাজারে এমনকি হাসপাতাল ক্লিনিকে কেউই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখছে না। করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির পরিবারের লোকজনও স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করায় কোান ভাবেই সংক্রমন প্রতিরোধ হচ্ছে না। লকডাউনের মধ্যে এভাবে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পেতে থাকলে এক হাজার বেডের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হলেও রোগীর জায়গা দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসক। এমনিতেই রুগীদের চাপ সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।

দেড় শ’ বেড থেকে ১৬৫ বেডে উন্নিত করে করোনা রোগী ভর্তি করা হয়েছে উল্লেখ করে করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ কুদরত-ই-খুদা জানালেন, রোগীর চাপ থাকলেও দুই’ শ’ বেডের বেশি উন্নিত করা যাবে না।

সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়ত জানান, জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভারইরাসটির উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মারা গেল মোট ২৫২ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫৫ জন। এনিয়ে, জেলায় এ পর্যন্ত দুই হাজার ৬১১ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হলো। আর বর্তমানে ৪৮ জন পজেটিভ রোগীসহ ২৯১ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)