বেনাপোলে প্রেমিকার একাধিক প্রেমের সম্পর্ক থাকায় প্রেমিক যুবকের আত্মহত্যা

বেনাপোল প্রতিনিধি:

প্রেমিকার একাধিক প্রেমের সম্পর্ক থাকায় এবং পুরাতন প্রেমিক জিহাদী হাসান নামে এক প্রেমিককে প্রত্যাখ্যান করায় জিহাদী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে । বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে জিহাদী ভিডিও কলে রসি টানিয়ে তার প্রেমিকা সানজিদা হক মিম এর নিকট তার শেষ ইচ্ছা জানতে চায় তাকে গ্রহন করবে কিনা না করলে সে আত্নহত্যা করবে বলে জানিয়ে দেয়। মিম তার ভিডিও কলের সব দৃশ্য দেখেও সে আত্নহত্যা করলে তার কিছু যায় আসে না এমন কথা শুনার পর জিহাদী আত্নহত্যার পথ বেছে নেয়। জিহাদী চট্রগ্রাম একটি চাকুরী করে। সেখান সে আত্নহত্যা করেছে । লাশ বৃহস্পতিবার বিকালে চট্রগ্রাম থেকে রওনা হয়েছে বলে তার পরিবার জানায়। এ ঘটনায় ওই পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

একাধিক প্রেমের মহানায়িকা মিম বেনাপোল পোর্ট থানার সরবানহুদা গ্রামের সেলিমুল হক এর মেয়ে।

জিহাদীর ছোট ভাই মেহেদী হাসান বলেন, প্রায় দুই বছর তার ভাইয়ের সঙ্গে মিম এর সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কের জের ধরে তার মা ওই বাড়িতে যাতায়াতও করেছে এবং মিমকে তারা তার ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিতেও ইচ্ছা প্রকাশ করে। তার ভাই জিহাদী চট্রগ্রাম একটি সিএন্ডএফে কর্মচারী হিসাবে চাকুরী করে। আর মিম যশোর লেখা পড়া করায় তাদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বার্তাও হয়। এবং তার ভাই চট্রগ্রাম থেকে মিমকে লেখা পড়ার খরচও দেয়।

সম্প্রতি জিহাদী জানতে পারে মিম আরো ছেলেদের সাথে প্রেম করে। এ বিষয় নিয়ে সে মিম এর কাছে জানতে চায় তুমি আমাকে বল আমার সাথে বিয়ে করবে কি না , আর না করলে আমি আত্নহত্যা করব। যা রসি ঝুলিয়ে মিমকে দেখিয়ে ভিডিও কলে কথা হয়। মিম ওই রসি দেখেও তাকে না করে দেয় এবং আত্নহত্যা করলে তার কিছু যায় আসে না বলে জানিয়ে দেয়। এরপর জিহাদী গতকাল বুধবার চিটাগাং নিজ অফিসে আত্নহত্যা করে।

সরেজমিনে সাদিপুর গেলে স্থানীয় কয়েকজন বলেন জিহাদী অত্যান্ত সরল সোজা ছেলে। সে ওই মেয়েকে ভালবাসত। এতে তার পরিবারেরও কোন আপত্তি ছিলা না। আর মেয়েটি প্রায় ২ বছর যাবৎ তার সাথে প্রেমের অভিনয় করে অর্থও হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া মেয়ের পরিবার থেকে ছেলের কাছে বিয়ে দিবে বলে দুই লাখ টাকা দাবিও করা হয় বলে তারা অভিযোগ করেন।

মিম এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে বলে তার সাথে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সে সিগারেট খাচ্ছে এমন কথা শুনে তাকে না বলা হয়েছে অভিমান করে । তার জন্য সে আত্নহত্যা করেছে। মিমি এর পিতা সেলিমুল হক বলেন আমি মেয়ের সাথে সাদিপুর গ্রামের জিহাদী নামে একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে জানি। তবে তাদের সাথে বিয়ে দিতে আমার কোন আপত্তি ছিল না। কেন কি কারনে সে আত্নহত্যা করেছে আমি জানিনা। তাদের নিকট বিয়ে দেওয়া বাবদ ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা মিথ্যা কথা।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্রগ্রাম থেকে জিহীদীর মৃত্যু দেহ বেনাপোল এসে পৌছায়নি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)