গোপনে তৃতীয় বিয়ে সারলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গোপনে বিয়ে সেরেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ওয়েস্টমিনিস্টারের একটি ক্যাথিড্রালে ক্যারি সাইমন্ডসের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিয়ের সীমিত আয়োজনে বরিস জনসন ও সিমন্ডসের কাছের বন্ধু ও পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, এই বিয়ের আগাম কোনো তথ্যই ছিল না প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক কর্মকর্থাদের কাছেও। বিষয়টি নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিট কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
যুক্তরাজ্যের ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশন সেক্রেটারি টেরিজা কফি এক টুইটবার্তায় বরিস জনসন ও ক্যারি সিমন্ডসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। উত্তর আয়ারল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার আরলেন ফস্টারও এক টুইটে এই দম্পতিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রোববার দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য মেইল এক প্রতিবেদনে বলেছে, স্বল্প সময়ের প্রস্তুতির বিয়েতে ৩০ জন অতিথি নিমন্ত্রিত ছিলেন। অতিথিদের সবাইকে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিয়েতে যেতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পর থেকেই ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বান্ধবী ক্যারি সাইমন্ডসকে নিয়ে থাকতেন বরিস জনসন। গত বছরই বরিসের সন্তানের মা হন ক্যারি। তবে শোনা গিয়েছিল তারা ২০২২ সালের জুলাই মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন।
যদিও এর আগেও দু’বার বিয়ে করেছিলেন বরিস। ২০১৮ সালে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। যদিও তার কত জন সন্তান রয়েছে, তা নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি ব্রিটেনের দ্য সান পত্রিকা জানিয়েছিল যে, অ্যাসপিনাল ফাউন্ডেশন নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কর্মী ক্যারি অতিসম্প্রতি বন্ধু-স্বজনদের বিয়ের দাওয়াতও দেওয়া শুরু করেছিলেন।
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয়ের আগেই ক্যারি সাইমন্ডসকে পেয়েছিলেন বরিস জনসন। এক চ্যারিটি প্রোগ্রামে পরিচয়, পরিচয় থেকে প্রেম, তারপর বাগদান এবং তার কিছু দিনের মধ্যেই করোনা মহামারি। ফলে দু’জন বারবার খবরের শিরোনামে এলেও করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিয়ের ঘোষণাটা দেয়া হয়নি। অবশ্য তাতে দু’জনের একসঙ্গে বসবাস থেমে থাকেনি। ব্রিটেনের ইতিহাসের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিটে বিয়ে না করা সঙ্গিনীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। পরের বছর বরিস আর কেরির ঘর আলো করে আসে ছেলে উইলফ্রেড।