শ্রীলংকাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক:

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রথমবারের মতো স্বল্প সময়ের জন্য শ্রীলংকা সরকারকে ২০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ বা ঋণ সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ।

বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগের আন্তর্জাতিক উপকরণ সোয়াবের (সাময়িক সময়ের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ) আওতায় এ ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

সোমবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে এ প্রথমবারের মতো কোনো দেশের সরকারকে সোয়াবের আওতায় বিনিয়োগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারি বন্ডে রিজার্ভের অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু কোনো দেশের সরকারকে বিনিয়োগ সুবিধা দেয়নি। কিন্তু এবার শ্রীলংকাকে সেই সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এর আগে বাংলাদেশ থেকে সোয়াবের আওতায় কোনো বিনিয়োগ সুবিধা নেয়নি শ্রীলংকা। তবে দেশটি ২০১৫ সালে ভারত থেকে সোয়াবের আওতায় সেদেশের রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগ সুবিধা নিয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, সোয়াবের আওতায় শ্রীলংকাকে রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগ বা ঋণ সুবিধা দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ। এখন এটি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আরো আলোচনা হবে। একই সঙ্গে শ্রীলংকার সঙ্গেও আলোচনা হবে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সূত্র বলছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে মার্চে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরও ঢাকায় আসেন। ওই সময়ে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সোয়াবের আওতায় ঋণের বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেন। এতে শেখ হাসিনা সম্মত হলে শ্রীলংকায় ফিরে গিয়ে তারা বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠান। সেই মোতাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।

সূত্রমতে, সাম্প্রতিক সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে ভুগছে শ্রীলংকা। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন মাত্র ৫০০ কোটি ডলার। এ রিজার্ভ দিয়ে তাদের তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। রিজার্ভকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রাখতে হয়। এ কারণে তারা বিদেশ থেকে ঋণ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াচ্ছে।

উল্লেখ্য, সোয়াবের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশ বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে ভুগলে এর আওতায় ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা নিতে পারে। এটি প্রথমে তিন মাসের জন্য দেয়া হয়। পরে এর মেয়াদ দু’পক্ষের সম্মতিতে বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)