ভুয়া রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রতারক নাসিরের তেলেছমাতি কান্ড (পর্ব-১)
এসকে.ফেরদৌস আহমেদ :
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুরের, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দানকারী,নাসির উদ্দিন সরদার এ জেন আর এক প্রতারক সাহেদ । কদমতলা বাজারের নাম-প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, লেখা পড়া জানে না, ক” লিখতে যার কলম ভাঙ্গে তিন শ” তিনি স্বপ্ন দেখেন চেয়ারম্যান হবেন এটা খুবিই হাস্যকর । নাসির উদ্দিন আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের,ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদবি পরিচয়ে নীরিহ মানুষের জমি-দখল ,নারী পাচার, মাদকসহ বেনামি একাধিক অবৈধ ব্যবসা করে তিনি তৈরি করেছে কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় ।
গভীর তথ্য অনুসন্ধানে জানাজায়,তিনি কখনই কৃষক ছিলেন না, বা কৃষকের কাজ করতেন না । পৈত্রিক সূত্রে,জমি ছিল তার তিন থেকে চার বিঘা , কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে তিনি পঞ্চাশ বিঘা জমির মালিক হয়েছেন । এটা কিভাবে সম্ভব ? এমন প্রশ্নে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, ভাই অবৈধ ব্যবসা ছাড়া রাতা রাতি কোটি পতি হওয়া যায় না । নাসির জিরো থেকে হিরো হওয়ার পরে তার খায়েশ জাগে জন-প্রতিনিধি হওয়া ।
কদমতলা বাজারসহ তার এলাকায় গোঁড়া দশেক তার নির্বাচনী ছবিসহ প্যানা সাইনবোর্ড লাগিয়ে তিনি নেমে পড়েছেন নির্বাচনী প্রচারণায় । এলাকায় তার নেই কোন জন-সমর্থন,নেই কোন লোক লস্কর, এজেন নিজের ঢোল নিজে পেটানো । বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ঢাল নেই তলোয়ার নেই বিধিরাম সরদার । যুগে যুগে অনেক প্রতারকের জন্ম হয়েছে,তাদেরও অবসান ঘটেছে, এজেন সাতক্ষীরার প্রতারক সাহেদের জেরজ কপি আরেক প্রতারক নাসির সরদার । তার বেশির ভাগ সময় কাটে অবৈধ ব্যবসা আর থানায় দালালি করে । তিনিই জানো থানার বড় বাবু ।
এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে মারধরসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিবে বলে হুমকিও প্রদান করে । কদমতলা বাজারের এক জন চা বিক্রেতা বলেন,কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে মাদক চোরা চালান থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে । তিনি আরও বলেন, নাসির উদ্দিন আসামীদের নাম পুলিশের চার্শীট থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে গ্রামের নীরিহ সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন ।
সম্প্রতি কদমতলা বাজারের পাশ্বর্তি এলাকা মলেঙ্গার, সাজিদা খাতুন নামে এক মহিলা মানব পাচার আইনে নাসির সরদারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং-৬/২০ । উক্ত মামলায় নাসির সরদার হাজত বাস করেছিলেন । বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন আছে । শুধু এখানেই শেষ নয় তার নামে রয়েছে আরও একাধিক মামলা ও অভিযোগ ।
এবিষয়ে নাসির সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ-প্রতিবেদককে বলেন,আমি বড় লোক হয়েছি আমার দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা আছে ,মাছের ঘের আছে এবং এলাকার কাউরে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে আমি গিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। আমার থানা পুলিশের সাথে ভালো সম্পর্ক আছে । অপর এক প্রশ্নে তার শিক্ষাগতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেছি । এই লেখা পড়াতে আমি চেয়ারম্যানী করতে পারব । চেয়ারম্যানী করতে বেশি লেখা পড়া লাগে না । পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসছি, নাসির আলাউদ্দিনের চেরাক কিভাবে পেলেন ? দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক সাতক্ষীরার পাতায়…।