বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শোক
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রবীন আ্ওয়ামী লীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধকালিন মুক্তিযোদ্ধা
কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন আর নেই। আজ রোববার ভোরে কলারোয়ায় নিজ
বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি
রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। প্যারালাইসড অবস্থায় তিনি
দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। এছাড়া বার্ধক্যজনিত নানা রোগ জটিলতায়
ভুগছিলেন তিনি। ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ৯ নম্বর সেক্টরের
অধীন যুদ্ধকালিন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন কলারোয়া
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা
কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট কলারোয়ার তৎকালিন বিরোধী
দলীয় নেতা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার
গাড়িবহরে হামলার মামলার বাদি ছিলেন। দীর্ঘ ১৯ বছর পর গত ৪ ফেব্রæয়ারি
সে মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এতে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ
সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড
হয়েছে।
মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র ছেলে কলারোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক বিপ্লব হোসেন ও মেয়ে কাজিরহাট কলেজের প্রভাষক সুরাইয়া
ইয়াসমিন রতœা এবং স্ত্রী সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য রোকেয়া
মোসলেমসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর
খবরে জেলাব্যাপী শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে
বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। জেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম প্রেরিত শোক
বিবৃতিতে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শোক জানিয়ে আরো বিবৃতি দাতারা হলেন
সিনিয়র সহ-সভাপতি একে ফজলুল হক, সহ-সভাপতি বিএম নজরুল ইসলাম,
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি, কাজী এরতেজা হাসান জজ, মো. শহীদুল
ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শেখ শাফী আহমেদ, মো. আছাদুল হক, মাস্টার
নীলকণ্ঠ সোম, শেখ সাহিদ উদ্দিন ও মিসেস সাহানা মহিদ। যুগ্ম-সাধারণ
সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, মো. আসাদুজ্জামান বাবু, আ.হ.ম
তারিক উদ্দীন। আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওসমান গনি, কৃষি ও
সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক
সম্পাদক আফসার আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট
আজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-উর-রশিদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
আরাফাত হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট অনিত কুমার
মুখার্জী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক গাজী আনিসুজ্জামান আনিচ,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জিএম ফাত্তাহ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক
শিমুন শামস্, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সন্তোষ কুমার সরকার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লাইলা
পারভীন সেঁজুতি, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ
স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক
শামীমা পারভীন রতœা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত
কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম শফিউল আযম লেনিন,
সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী
আখতার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান লিটু, উপ-প্রচার ও
প্রকাশনা সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু ও কোষাধ্যক্ষ বাবু রাজ্যেশ্বর দাস।
নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, ফিরোজ
আহমেদ, এসএম জগলুল হায়দার এমপি, এসএম শওকত হোসেন, এবিএম
মোস্তাকিম, অ্যাডভোকেট মোজহার হোসেন কান্টু, শেখ নুরুল ইসলাম,
নরীম আলী মাস্টার, মো. মুজিবুর রহমান, ফিরোজ আহমেদ স্বপন, শেখ
নাসেরুল হক, শেখ আব্দুর রশিদ, মো. শাহ্জাহান আলী, মো. শাহাদাত
হোসেন, ঘোষ সনৎ কুমার, এসএম আতাউল হক দোলন, মো. মনিরুজ্জামান
মনি, শেখ মারুফ হাসান মিঠু, আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সাঈদ মেহেদী,
মো. আব্দুল কাদের, জাফরুল আলম বাবু, মীর মোশারফ হোসেন মন্টু,
আসাদুজ্জামান অসলে, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু,
এনামুল হক ছোট, ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান সুমন, মিসেস কহিনুর
ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম, শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম,
নাজমুন নাহার মুন্নি, মো. সামছুর রহমান, মীর জাকির হোসেন,
মিসেস মাহফুজা রুবি, ইসমত আরা বেগম।