লেবু তো নয়, যেন টাকার বাগান
বিশেষ প্রতিবেদন:
লেবু বাঙ্গালীর খাবারে স্বাদ বৃদ্ধি করে। এছাড়া লেবুতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সমারোহ, যা শরীরকে বিভিন্ন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিএআরআই) উদ্ভাবিত সীডলেস লেবু। যেটি অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দেশের কৃষকদের মাঝে। সীডলেস লেবু অনেক লম্বাটে, বাইরের আবরণ মসৃণ। গাছপ্রতি ১ হাজারের ও বেশি বেশি ফল পাওয়া যাই, যেটি গাছ বড় হলে আরও বৃদ্ধি পাই। । প্রতি ১০০ গ্রাম লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে ৪৬ মি.গ্রাম। বছরে দুইবার ফল দিলেও গাছে লেবু রেখে সারা বছরই বিক্রয় করতে পারে কৃষকরা। একটি লেবুর ওজন প্রায় ১৩০ গ্রাম এর কাছা কাছি।
ভালো ফলন ও বাজারে লেবুর চাহিদা থাকায় লেবু চাষে ঝুকছে তরুন কৃষি উদ্যোক্তারা। প্রতি বছরই লেবু চাষে আবাদী জমির পরিমান বাড়ছে।
সীড লেস লেবু চাষে অনেকইে পেয়েছে অভাবনীয় সাফল্য তেমন একজন সফল চাষীময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার তামাইট বাজার এলাকার জাহিদ হাসান ৪০০ কলমের চারা দিয়ে তিন বিঘা জমিতে বাগান শুরু করলেও আজ তিনি ১৫ বিঘা জমিতে সীডলেসলেবু চাষ করছেন।
জাহিদুল হাসান জানান লেবু চাষে কেটে গেছে ৫ বছর ঘুরেছে ভাগ্যের চাকা আজ তিনি ৩০ বিঘা জমিতে করছেন লেবু সহ নার্সারী ব্যবসা যেখানে মাতৃ গাছের ছায়ন কেটে তৈরি হচ্ছে লক্ষ্য লক্ষ্য গাছের চারা। জাহিদুল হাসানের লেবুবাগান থেকে মাসে, ২ বার লেবু বাজারজাত করতে হয়, ফলে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে তার লেবুবাগানে। তিনি বলেন একটি গাছে সাত থেকে আট মাসে লেবু ধরতে শুরু করে। গাছের খাবার হিসেবে জৈব সার ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করা হয়না। দুই থেকে তিন বছরের একটি লেবু গাছ থেকে বছরে প্রায় ১০ হাজার টাকার লেবু বিক্রয় করা যায় এছাড়া লেবুর সারা বছরই চাহিদা থাকে ফলে এটি একটি লাভ জনক চাষ।
জাহিদুল হাসানের লেবু চাষে সাফল্য দেখে ময়মনসিংহ অলের আনেকেই শুরু করেছে লেবু চাষ। বছর পেরোতেই তারও পেয়েছে সাফল্য।
সীডলেস লেবুর চারা রোপণের পর একাধারে ২০ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। ফলে এই লেবু হতে পারে দেশের কৃষকদের জন্য সম্ভবনার নতুন দিগন্ত । প্রয়োজন কৃষকদের সঠিক প্রশিক্ষণ আর কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগীতা। তবেই এগিয়ে যাবে কৃষি ও কৃষক সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি।