কেশবপুরে সুদে টাকার জের ধরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যাঃআটক-৬

কেশবপুর প্রতিনিধিঃ
যশোরের কেশবপুরে সুদে টাকা লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খোকন দাস(৭০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় তাদের হামলায় মহিলাসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। উপজেলার চিংড়া ধর্মপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

এই ঘটনায় থানার হত্যা মামলা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।

থানায় মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত কয়েক বছর আগে চিংড়া-ধর্মপুর গ্রামের দুলাল দাসের স্ত্রী পূর্নিমা
দাসের নিকট থেকে একই গ্রামের খোকন দাসের ছেলে কালীপদ দাস ১০ হাজার টাকা সুদে ধার নেন। যথারিতি তিনি সুদসহ আসল টাকা পুর্নিমাকে পরিশোষ করে দেন। কিন্তু পুর্নিমা তার লাভের আরো ৮শ টাকা পাবে বলে তাকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু তিনি পূর্নিমাকে সাফ জানিয়ে দেন টাকা শোধ করে দিয়েছি, আমি আর কোন টাকা দিতে পারবোনা। এই ঘটনার জের ধরে রবিবার সকালে তার বাড়ীর সামনে রাস্তায় একা পেয়ে পুর্নিমা, সুজন দাস,পংকজ দাস,বলরাম দাস,বৈশাখী দাস-সহ ৪/৫জন ব্যক্তি মিলে জোর করে তার কাছ থেকে সুদের বাকী টাকা আদায়ের জোর চেষ্টা করে। টাকা দিতে অস্বিকার করায় তারা
তাকে মারপিট শুরু করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে প্রতিবাদ করতে গেলে তারা তার বৃদ্ধ বাবা খোকন দাস(৭০), মা মানু দাস(৬০),ভাইজি কেয়া দাস(১৪), ভাই রবিন দাস(৪০), ভাইপো আকাশ দাস(২২) ও মাধব দাসের স্ত্রী কালী দাসী(৫৫) কে লোহার রড, ছুরি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে আহত
করে। আহতদের মধ্যে খোকন দাস, মানু দাসী, কেয়া ও কালী দাসীকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার বাবা খোকন দাস মারা যায়। এঘটনায় কালীপদ দাস বাদী হয়ে সুজন দাসকে ১নং আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কেশবপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান চালিয়ে সুজন, পূর্নিমা, বলরাম, বলরামের স্ত্রী অশকা ও লিভা এবং পংকজ দাসকে আটক করেছে।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দীন জানান, হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামালা দায়ের করেছে। এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)