আট খাবারেই সুস্থ থাকবে ফুসফুস

চিকিৎসা ডেস্ক :

মানবদেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ফুসফুস। যা কোনো কারণে নষ্ট হয়ে গেলে মৃত্যু ঘটাতে পারে। নানাভাবেই আমাদের দেহে রোগ বাসা বাঁধে। আর ফুসফুস আমাদের ভুলেই নষ্ট হতে থাকে। তাই ফুসফুস নিয়ে সচেতেন হওয়া উচিত সবার।

ফুসফুস সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে খাদ্য। বয়স বাড়ার কারণে, অত্যধিক পরিবেশ দূষণ এবং বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের ফলে যাদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে গেছে, তাদের খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন। আর এই ফুসফুস সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত, চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে-

> ফুসফুসের স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার বা তার বেশি পানি পান করুন। এতে ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে এবং শ্লেষ্মা পাতলা থাকে। ফলে দূষিত পদার্থ ও জীবাণু হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বের হয়ে যায়।

> গ্রিন টি’তে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এক কাপ গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা স্বাস্থ্য সচেতনরা অবশ্যই অবগত রয়েছেন। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত গ্রিন টি পানের অভ্যাস গড়লে ফুসফুসের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।

> বিভিন্নরকম মাছ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মাছ বেশ কার্যকরী। বিশেষ করে ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসের কার্যক্ষমতাকে অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ফুসফুসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। তাই নিয়ম করে মাছ রাখুন পাতে।

> নিয়মিত হলুদ খাওয়া শ্বাসযন্ত্রে বাতাস চলাচল সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে। এতে আছে কারকিউমিন যা ফুসফুস প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হলুদ কাঁচা বা গুঁড়া করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে রোগ বালাই দূরে থাকে।

> আদা-রসুন ফুসফুসের জন্য ভালো কাজ করে। এসব মসলায় থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ফুসফুস পরিষ্কার রাখে ও কার্যকারিতাও বাড়ায়। এ ছাড়া ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

> ব্রকলিতে থাকা সালফোরাফেন, অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। তাই রোজকার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ব্রকলি রাখুন।

> তুলসী পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ফুসফুসের সুরক্ষার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বাতাসে ভেসে থাকা দূষিত পদার্থ নিঃসরণ করতে তুলসী পাতা সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতা চিবিয়ে বা এক টেবিল চামচ রস বের করে খেতে পারেন।

> বেদানা, আপেল, আঙুর, কমলালেবু, পেয়ারা, গাজর, বিনস, শসা, কুমড়ো, অলিভ অয়েল, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার, পেঁয়াজ, দুধ ও ডিম ইত্যাদি ফল ও খাবারে ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এইগুলোতে থাকা ভিটামিন-সি, এ, ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন শাকসবজি খান এবং খাবারের পরে ফল খান।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)