ভালোবাসার মানুষকে জীবনসঙ্গী করতে পরিবারকে রাজি করান এই উপায়ে

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

বিয়ে মানে শুধু দুজন মানুষের একসঙ্গে থাকা নয়। বরং দুটি পরিবারের এক হওয়া। অনেকেই আছেন চাপে পড়ে পরিবারের পছন্দে বিয়ে করেন। অনেক কারণে নিজের পছন্দের কথা বলতেও পারেন না তাদের। এতে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে জীবন কাটানোর যে রঙিন স্বপ্ন দেখেছেন তা ঢেকে যায় বিষাদের রঙে।

পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা যে কোনো পারিপার্শ্বিক কারণে বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী পছন্দ হতে পারে। তবে ভালোভাষা তো কোনো ছক কষে হয় না। তাই এই বিরহের বেদনাও বেশি। পরিবারকে পছন্দের মানুষকে বিয়ের ব্যাপারে রাজি করাতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। পরিবারকে খুব সহজেই এই কৌশলের মাধ্যমে বিয়েতে রাজি করাতে পারবেন।

চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব-আপনার বাবা-মা অথবা পরিবারের যিনি সিদ্ধান্ত দেন তিনি আপনার জন্য কেমন মেয়ে বা ছেলে পছন্দ করতে পারেন তা জানার চেষ্টা করুন। আপনার পছন্দের ছেলে বা মেয়ের মধ্যে সেই গুণগুলো থাকলে বুক ফুলিয়ে জোরে জোরে কয়েকবার হাঁফ ছাড়ুন। না হয় একটু শিখিয়ে পড়িয়ে নিতে পারেন।

> মায়ের সঙ্গে একটু বেশি খাতির জমিয়ে ফেলুন। তাকে পছন্দের পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে জানান। মা হচ্ছে সন্তানের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। মায়ের কাছে আপনার বিষয়টা খুলে বলুন। আপনার পছন্দের মানুষটিকেই আপনি জীবনসঙ্গী করতে চান। দেখবেন আপনার মা আপনাকে সহযোগিতা করবে।

বাবার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের খুব ভালোভাবে বোঝান, কেন আপনাকে এই পাত্র-পাত্রী বিয়ে করতে হবে। ঘর থেকে মা আপনাকে সাপোর্ট দিলে এবং বাইরে থেকে বাবার বন্ধুরা তাকে বোঝালে দেখলে আপনি সুখের দরিয়া ডুবি-ডুবি করছেন।

পরিবারের কর্তা যদি বড় ভাই হন তাহলে ভাবিকে পটানো একটু সহজ বটে। ভাবির পছন্দ বুঝে দু-একটা উপহার কিনে দিন। ভাবির গৃহাস্থলিতে হাতের কাজে একটু সহযোগিতা করুন। দেখবেন তিনি খুশি হয়ে গেছেন। এরপর ইনিয়ে-বিনিয়ে ভাবি রাজি করিয়ে ফেলতে পারবেন। তখন ভাইকে বোঝানোর দায়িত্ব ভাবির।

আপনার পছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বলুন, যেভাবেই হোক যেকোনো একটা চাকরি জোগাড় করতে। যাতে আপনার পরিবার এটিকে ভালোভাবে নেয় এবং বিয়ে-পরবর্তী জীবনে আর্থিক সংস্থান হয়।

> এসবে কাজ না হলে বাবা-মাকে দেখিয়ে দেখিয়ে কিছুটা পাগলামি শুরু করুন। দেয়াল বা পিলারের সঙ্গে নিজের মাথায় আস্তে আস্তে আঘাত করুন। তবে ভাব ধরুন, যেন খুব জোরে আঘাত করছেন। যাতে তারা বুঝতে পারে, আর কোনোভাবেই আপনাকে ফেরানো সম্ভব হবে না।

> এর পরেও যদি পরিবার রাজি না হয় তাহলে দেশান্তরী হওয়ার হুমকি দিন। সিরিয়াস হয়ে যাবেন না আবার। পরিবারকে জানিয়ে দিন, এখানে আপনার বিয়ে না হলে আপনি দেশ ছেড়ে চলে যাবেন।

এখনো যদি দেখেন পরিবার রাজি হচ্ছে না, তাহলে বলতে হবে আপনি একেবারে সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে হাল ছাড়া যাবে না। এবার আপনাকে শেষ চেষ্টা করতে হবে। শেষ চেষ্টার আগে পছন্দের পাত্র-পাত্রীর সঙ্গে একবার দেখা করুন। কারণ, এটিই হতে পারে শেষ। দুজন মিলে শেষ চেষ্টার উপায় বের করুন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)