এএসপি শিপনের মৃত্যু: লোক দেখাতে নার্সদের ডাক্তার সাজিয়ে পরীক্ষা করানো হয়

নিউজ ডেস্ক:

হাসপাতালের কর্মীদের মারধরে মারা যাওয়ার আগে নার্সদের ডাক্তার সাজিয়ে এএসপি আনিসুল করিমের শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। শুধু তাই নয় মারা যাওয়ার পরে তার আত্মীয়-স্বজনকে দেখানোর জন্যই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অক্সিজেনের সিলিন্ডার আনে। মাইন্ড এইড হাসপাতালের বাবুর্চি রুমা আক্তার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

রাজধানীর আদাবর এলাকায় মাইন্ড এইড হাসপাতালের বাবুর্চি রুমা  হাসপাতালটিতে প্রায় দুই মাস কর্মরত আছেন। তিনি বলেন, ভিডিওতে দেখছি পুলিশ স্যারের জ্ঞান ফেরানোর জন্য বুকে যারা চাপা দিয়ে চেষ্টা করছেন তারা কেউ ডাক্তার না। তারা সবাই নার্স। ওই সময় তিনজন নার্স ছিল, অপর্ণা কেকা ও সুমাইয়া।

রুমা আরো বলেন, হাসপাতালের ভেতর কি হয় আমরা জানি না। সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে যা দেখছি তা নিয়ে মিছা কথা বলবো না। শুনছি ওইদিন একটা রোগী আসবে। ম্যানেজার স্যার রোগীকে বাথরুমে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দোতলায় নিয়া আসেন। ওই (সাউন্ড প্রুফ রুমে) রুমে যখন নেয়ার চেষ্টা করা হয় তখন রোগী রুমে ঢুকতে চায় না। পরে রোগীকে ৬-৭ জন মিলে টেনে ওই রুমে নিয়ে যায়।

রুমা বলেন, দুই-তিন জন মানুষ পুলিশ স্যারের বুকের ওপর বসে তার হাত-পা বানছে। বাঁধার পরে স্যার নিস্তেজ হয়ে গেলেন। এরপরে আমি গিয়ে আমার সঙ্গে রান্না করে ওই মেয়েটিকে বলি। এর কিছুক্ষণ পরে শুনি স্যারে মারা গেছেন।

রুমা আরো বলেন, ধস্তাধস্তির মধ্যেই তিনি মারা গেছেন। পরে তার হাতে-পায়ে পানি দেয়া হয়। লোক দেখানোর জন্য অক্সিজেন নিয়ে আসে হাসপাতালে। পুলিশ স্যারের মারা যাওয়ার খবর তার ভাই-বোনেরা সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারেনি। কিছুক্ষণ পরে জানতে পারে। অন্য রোগীদেরকে পুলিশ স্যারের মতো ধস্তাধস্তি আর মারতে কখনো দেখিনি। এমনটা কেন হলো আমি বলতে পারি না।

সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এএসপি আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সোমবার রাতে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আরো একজনকে আটক করা হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)