আবারো আদালতে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যু রহস্য

বাংলা চলচ্চিত্রের রাজকুমার ডাকা হতো সালমান শাহকে। অভিনয় নৈপুণ্য আর অসাধারণ ব্যক্তিত্বে কোটি চলচ্চিত্রপ্রেমীর স্মৃতিতে এখনো ভাস্বর সালমান শাহ। ২৪ বছরেও তুমুল জনপ্রিয় এই অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে কাটছে না ধোঁয়াশা। তদন্ত সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বলা হলেও তা মানতে নারাজ পরিবার।

পিবিআই-এর তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজি দিতে সময় চাইল চিত্রনায়ক সালমান শাহর পরিবার। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় বার বার তদন্তে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। তাই আবারো আদালতে গড়াল সালমান শাহর মৃত্যু রহস্য।

পিবিআইয়ের প্রতিবেদন গ্রহণ নিয়ে শুনানির জন্য ১১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সিআইডি, বিচার বিভাগীয়, র‌্যাবের পর এবার পিবিআই-এর তদন্ত প্রতিবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছে সালমান শাহের পরিবার। হত্যা হলেও, বার বার এ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে দাবি করে, সোমবার (৩১ আগস্ট) আদালতে নারাজি আবেদনের জন্য সময় চান সালমানের মায়ের আইনজীবী। ন্যায়বিচারের জন্য তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।

সালমানের মায়ের আইনজীবী বলেন, পিবিআই আমাদের এভিডেন্সগুলো পর্যালোচনা করেনি। এজন্য আমরা মন করি সঠিক রিপোর্ট আসেনি। সালমানের মা এখনও ইংল্যান্ডে আছেন। আদালত একারণে আমাদের সময় দিয়েছেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমানের মৃত্যুর এক বছর পর তার বাবা হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৭ সালের নভেম্বরে সিআইডি সালমানের মৃত্যুকে আত্নহত্যা বলে প্রতিবেদন দেয়। কিন্তু সে প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে আদালতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আবেদন করেন সালমানের বাবা।

২০০৩ সালে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য পাঠানো হলেও তদন্তেই কেটে যায় ১১ বছর। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আবারও সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা জানিয়ে প্রতিবেদন দেয়া হয়। ২০১৫ সালে আদালতে নারাজি আবেদন করেন সালমানের মা। তদন্ত শেষে র‌্যাবও আত্নহত্যা হিসেবে প্রতিবেদন দেয়।

২০১৬ সালে সালমানের মায়ের নারাজি আবেদন মঞ্জুর করে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পিবিআইকে। পারিবারিক কলহের জেরে সালমান আত্নহত্যা করেছেন জানিয়ে চলতি বছরের গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দেয় পিবিআই।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)