তালার হাজরাকাটী টু কাটবুনিয়ার সড়ক চলে যাচ্ছে মাছের ঘেরের দখলে
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ১২নং খলিলনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটী ১নম্বর ওয়ার্ড হতে, হাজরাকাটী টু কাটবুনিয়া দিকে সে সড়ক টি গিয়েছে এই সড়ক টির বেহাল দশা ।
হাজরাকাটী বাজার হতে ০৭ কিলোমিটার পূর্বদিকে কাটবুনিয়া গ্রাম। এ গ্রামে প্রায় ৩০০ পরিবারের দুই হাজার ৫০০ মানুষের বসবাস। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও তাদের গ্রামে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। হাজরাকাটি বাজার থেকে কাটবুনিয়া পর্যন্ত যেতে সড়কের দুই পাশে রয়েছে মৎস্য ঘের। মৎস্য ঘেরের পানির ঢেউ-এ সড়কও বিলীন হয়ে যায়। প্রতিবছর সড়ক সংস্কার করলেও মৎস্য ঘেরের কারণে বিলিন হয়ে যায়।
কাটবুনিয়া গ্রামের মহিলা শ্রমিক তৃপ্তি মন্ডল জানান, তাদের গ্রামের সাথে শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বললেই চলে। তাদের গ্রামে কেউ অসুস্থ্য হলে সড়ক পথে নিয়ে গেলে তিনি আরও অসুস্থ্য হয়ে যাবে। এজন্য কোনো সময় নৌকায়, আবার কোনো সময় ঘাড়ে করে নিয়ে যেতে হয়।
একই গ্রামের বাসিন্দা সাধনা মন্ডল জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে বাড়ির লোক বেকার বসে আছে। ঘের মালিকরা ২০০ টাকা করে মহিলা শ্রমিক নিয়ে কাজ করছে। এজন্য তিনি কাজে আসছে। এমন বক্তব্য ওই গ্রামের অধিকাংশ মানুষের।
মৎস্য ঘের মালিক সরদার ইমান আলী জানান, সড়কটির পাশে ঘের রয়েছে। প্রতিবছর যে টুকু ভেঙ্গে যায়, তা আবার মেরামত করে ঘেরে পানি উঠানো হয়। তবে সড়কটি সংস্কারের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু জানান, কাটবুনিয়াবাসির যাতয়াতের একটি মাত্র সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সমন্বয় কমিটির সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করে ছিলাম। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সড়কটি উন্নয়নের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে সড়কের ক্ষতির কারণ হিসেবে দুই পাশের ঘের মালিকদের চিহ্নিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, প্রথমে ইটের সলিং ও পরে কিছু অংশ এইচবিবি দ্বারা উন্নয়ন করা হয়। কিন্তু সড়কের দুই পাশে মৎস্য ঘেরের কারণে সড়কটি চলাচলের মত অবস্থা নেই। এজন্য সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
Please follow and like us: