খাজরায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ গ্রাহক ও মুসল্লিরা 

আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের অস্বাভাবিক বিড়ম্বনায় গ্রাহক ও তারাবি নামাজের মুসল্লিরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের জবাবে গ্রাহকরা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। তারা এহেন অরাজকতা থকে পরিত্রান পেতে চান।

দেশে বিদ্যুতের চাহিদা পুরোপুরি ভাবে মেটানো সম্ভব হয়েছে। বরং চাহিদার তুলনায় অনেক বেশী উৎপাদন ও সরবরাহ রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুতের চাহিদা পুরনের প্রেক্ষিতে সকল বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে কঠোর ভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে ১০০% বিদ্যুৎ সংযোগ অর্থাৎ সকল ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগ দিনরাত কাজ করে চলেছেন। এখন কোথাও বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়ার কথা না থাকলেও খাজরা ইউনিয়ন তথা আশাশুনি উপজেলায় বিদ্যুতের নিয়মিত উধাও হওয়ার ঘটনা মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। প্রতিদিন অনেকবার বিদ্যুতের আনাগোনার ঘটনা ঘটে চলেছে। সকাল ৭/৮ টা থেকে শুরু হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা। এরপর দিনে বহু বার বিদ্যুৎ উধাও হচ্ছে। তবে বিকালে ও সন্ধ্যায় বিদ্যুতের প্রস্থান নিয়মিত হয়ে দাড়িয়েছে বললেও ভুল হবেনা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর তারাবি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কখনো কখনো বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। মেঘ হলে বা বৃষ্টি শুরু হলে বিদ্যুতের পালানোর ঘটনাতো বলার অপেক্ষা রাখেনা। ঝড়ো হাওয়া শুরুর প্রয়োজন হয়না, মেঘের ঘনঘটা দেখা গেলেই বিদ্যুতের লুকানোর ঘটনা এলাকায় মুখরোচক গল্পে পরিণত হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম বিদ্যুতের ঘন ঘন আনাগোনায় অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তার সাথে কথা বললে, তিনি কারিগরি ও লাইন মেরামত জনিত কারনে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে দাবী করেন। তবে গ্রাহকরা বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে মোবাইল করলে জবাব আসে, লাইনে কাজ হচ্ছে, মেইন লাইনে সমস্যা থাকায় উপর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ইত্যাদি। গ্রাহকরা ও মসজিদের মুসল্লীরা তাদের জবাবে খুশি ও সন্তুষ্ট নন, তাদের দাবী, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত পূর্বক গ্রাহকদের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আসুন। প্রচন্ড গরমে তারা কষ্টের হাত থেকে রেহাই পেতে চায়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)