তালায় বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টায় ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

সাতক্ষীরার তালায় বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদের আশংকায় স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও শেষ রক্ষা হলনা পলাশ খাঁ গংদের।আজ  শুক্রবার (৮ মে) সকালে প্রতিপক্ষরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের বসত বাড়িতে হানা দিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। প্রতিবাদ করায় তারা বাড়ির মহিলাদের শ্লিলতাহানি ও পুরুষদের মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তালা উপজেলার দক্ষিণ শাহাপুর এলাকায়। আহতদের উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় তালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়,তালা উপজেলার দক্ষিণ শাহাপুর গ্রামের মৃত আলিম উদ্দীন খাঁ এর ছেলে পলাশ খাঁ’র সাথে একই এলাকার মৃত রহমউদ্দীন গাজীর ছেলে আলাউদ্দীন গাজী,মৃত সিরাজ উদ্দীন গাজীর ছেলে আতিয়ার রহমান গাজী,মৃত হবিবুর রহমান গাজীর ছেলে মাহাবুবুর,নাসির উদ্দীন গাজীর ছেলে কামরুল,ওজিয়ার রহমানের ছেলে জিয়ারুলসহ অন্যান্যদের সাথে তার বসত বাড়ির জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এনিয়ে ঘটনার দিন শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে উপরোক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে পলাশ খাঁ এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রথমে তার বসত ঘরের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা চালায়। এসময় পলাশের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) তাদের বাঁধা দিলে আতিয়ার,কামরুল ও জিয়ারুল তাকে মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করে। জিয়ারুল রোজিনার পরিধেয় বস্ত্র টেনে ছিড়ে ফেলে তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। একপর্যায়ে আতিয়ার তাকে গলাটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় পলাশের ছোট ভাই ফারুখ (৩৩) তাদের হাত থেকে ভাবী রোজিনাকে উদ্ধার করতে সমর্থ হলেও হামলাকারীদের মধ্যে মাহাবুবুর পেছন থেকে ফারুখের মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে মাথার হাঁড় কেটে গুরুতর আহত হয়। পলাশ খাঁ এগিয়ে এসে আসলে তার মাথায়ও অনুরুপভাবে কোপ দিলে তিনি তা ডান হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন। কোপে তার হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে যায়। হামলাকারীরা পলাশের অপর ভাই জাহাঙ্গীরকেও উপর্যুপরী হাতুড়িপেটা করে। একপর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে মন্টু গাজী,রানা খাঁ,আলমগীর খাঁসহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
প্রসঙ্গত,পলাশ তার বসতবাড়ী হতে উচ্ছেদের আশংকায় বুধবার (৬ মে) উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমানসহ তালা থানায় মৌখিক অভিযোগ দেয় । তালা থানা অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি তদন্তপূর্বক বসাবসির মাধ্যমে ঈদের পরে সময় দিয়ে খেশরা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইসমাইল হোসেনকে নির্দেশ দেন।
এব্যাপারে ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ইসমাইল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে এপ্রতিনিধিকে বলেন, উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নির্দেশ দেন তিনি । তবে আসামী পক্ষ তার কথা উপেক্ষা করে এ হামলা চালিয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে পুলিশের নিকট জানানোর পরও আসামীদের সংঘবদ্ধ হয়ে হামলার ঘটনায় ঐ পরিবারে নতুন করে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেলের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মারপিটের ঘটনাটি অন্যায় হয়েছে। শুক্রবার বিকালে উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)