দেবহাটায় ক্যাবল অপারেটরকে কুপিয়ে জখম

দেবহাটায় কৌশলে বাড়িতে ডেকে ক্যাবল অপারেটরকে হত্যার চেষ্টায় দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে এক সন্ত্রাসী। আহত পরিবারের পক্ষে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানাযায়, উপজেলার চকমাহমুদ আলীপুর গ্রামের মৃত মীর মোর্শেদ আলীর পুত্র মীর শাহীন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দক্ষিন নাংলা গ্রামের হানিফ আলী গাজীর পুত্র ক্যাবল অপারেটর ( ডিশ লাইনের কর্মী ) সাইদুর রহমান সাঈদকে সু-কৌশলে ডিশ লাইনের ম্যাশিন খাটানোর নাম করে বাড়িতে ডাকে। সাঈদ তার বাড়িতে এসে ম্যাশিন খাটানোর পরে শাহীন তাকে কৌশলে টিভি সারর্সিং করার কথা বলে ঘরে ঢুকতে বলে । সাঈদ ঘরে ঢুকে রিমোর্ট কন্ট্রোলার দিয়ে মনোয়োগ সহকারে টিভি সার্সিং করতে থাকে। এক পর্যায়ে চুপিসারে মীর শাহীন প্রথমে পিছন থেকে সাঈদকে দা দিয়ে ঘাড়ের উপরে কোপ মারে।

এসময় সাঈদ পিছন ফিরলে আরো একটি কোপ মারতে যায় শাহীন । তখন সাঈদ ঠেকাতে গেলে একটি কোপ মুখে এবং আরও একটি কোপ তার ডান হাতের তিনটি আঙ্গুলে স্বজোরে লাগে। তখন সাঈদ ভয়ে স্থানীয় এক জনের বাড়িতে যেয়ে আশ্রয় নেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সখিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করলে তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা গাজী মেডিকেলে ভর্তি করে সাঈদের পরিবার। তবে হত্যা চেষ্টার রহস্য এখনও উৎঘাট হয়নি বলে জানায়ায় একটি সুত্রে।স্থানীয় সুত্রে ধারনা করা হচ্ছে তার মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এ হত্যা চেষ্টা হতে পারে। তাছাড়া এই শাহীন ২০১৩ সাল থেকে ভারতের তামিলনাড়ু এবং বাংলাদেদেশ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে ছিল। তাই অনেকের ধারনা শাহীন জামাতের একজন সক্রীয় কর্মী। সে স্থানীয় মসজিদের ইমামের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক করতো। জামাতের গোপন পরামর্শে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও অনেকের ধারনা।তবে রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত পালিয়ে থাকা শাহীন তার ভগ্নিপতি পশ্চিম কোড়ার পুটে পাগলের ছেলে মজনুকে দিয়ে তার ফার্মের মুরগী বিক্রয় করে দেয়। উল্লেখ্য এই এলাকাটি জামাত শিবির অধ্যশিত এলাকা। ২০১৩ সালে এই এলাকার কিছু শিবির কর্মী রাস্তায় ব্যারিকেট দেওয়া,গাছকাটা এমকি আওয়ামীলীগ নেতা রায়হান হত্যা মামলার সাথে জড়িত ছিল বলে জানাযায়। এ ব্যাপারে আহত সাঈদের পিতা বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

এব্যাপারে সরোজমিনে যেয়ে শাহীনসহ তার পরিবারের কাউকেই বাড়িতে পাওয়া যায়নি।এদিকে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এ ব্যপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)