করোনা ছড়াতে পারে ব্যবহৃত পত্রিকা ও বই

মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম নিয়ামক খাদ্য। খাদ্য ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। সেই খাদ্য যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে ভেজাল খাদ্য খেয়ে মানুষের জীবনহানিও ঘটতে পারে। ফলে প্রতিটি মানুষই নিরাপদ ভেজালমুক্ত খাবার খেতে চায়। কিন্তু বর্তমানে দেশে যেভাবে ভেজালের আগ্রাসন চলছে, তাতে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি অনেকাংশেই কঠিন হয়ে পড়েছে। অথচ নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি মানুষের মৌলিক অধিকার। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ভেজালমুক্ত ও উন্নত পরিবেশে তৈরি খাবার সরবরাহে কাজ করছেন ঠিকই, কিন্তু নিরাপদ খাদ্য পরিবেশনকে নিশ্চিত করতে পারছেন না।

সরেজমিনে দেখাযায়, শ্যামনগর উপজেলা সহ আমাদের দেশের সকল খাবার হোটেলে, মিষ্টির দোকান, ভাজার দোকান, মুদি দোকান সহ সকল প্রকার খাবার ও খাদ্যদ্রব্য পরিবেশনের সময় ব্যবহার করা হয় মেয়াদ উর্ত্তীন্ন পত্রিকা ও অব্যবহৃত বই। যেটি বর্তমান সময়ের প্রাণঘাতিক করোনা সহ অন্য বড় বড় রোগ ছড়াতে পারে অতিদ্রুত। আমরা যখন পত্রিকা পড়ি সে সময় হাঁচি লাগলে সেটি দিয়ে মুখ ঢাকি, টেবিলে ময়লা পড়লে সেটি পরিস্কার করে পত্রিকা দিয়ে, পত্রিকা পড়া শেষে পত্রিকাটি যত্রতত্র ফেলে রাখি ডাষ্টবিনে এবং যে সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ছাত্র-ছাত্রীরা গাইড সহ অন্যান্য বই ব্যবহার করে থাকে সেগুলোও বছর শেষে ফেলে রাখা হয় যত্রতত্র স্থানে। সেখান থেকে ফেরিওয়ালা ঐ পেপার (পত্রিকার) ও বই গুলি নিয়ে বিক্রয় করে হোটেল, ভাজার দোকান, চায়ের দোকানে সহ বিভিন্ন দোকানে। এরপর বিভিন্ন খাবার পরিবেশনে সেটি ব্যবহার করাহয়। কিন্তু কেউ একবারও জানতে চায়না সেটা আদৌ জীবানুমুক্ত কিনা? এটা যদি কোন করোনা, ক্যান্সার, টিভি সহ এধরনের বিভিন্ন বড় বড় রোগ আক্রান্ত মানুষ পড়ে বা ব্যাবহার করার পরে বিক্রয় করে থাকে তাহলে কি সেটা জীবানু মুক্ত হবে? না বরং এটার দ্বারা আরো দ্রুত এ রোগ গুলো ছড়াতে থাকবে। এ জন্য মানুষকে বিবেকসম্পন্ন হতে হবে। ভাবতে হবে, নিরাপদ খাদ্যকে নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হবে। এমনকি খাবার যতই মজাদার হোক না কেন পরিবেশনটা রুচিচিসম্মত না হলে পরিপূর্ণ তৃপ্তি পাওয়া যায় না। সেকারণে যাতে খাবার পরিবেশনে উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ পত্রিকা ব্যাবহার না করে ফুডগ্রেড টিস্যু ব্যবহার হয় তার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

এ বিষয়ে ডাঃ মুজিবুর রহমান (গ্রাম ডাক্তার) বলেন, সর্বোপরি গণসচেতনতা ছাড়া এমন ছোঁয়াচে বা অন্যান্য মরণ ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া একেবারেই অসম্ভব। গণসচেতনতা শুধুমাত্র প্রশাসনের খবরদারিতে সম্ভব নয়;- বরং প্রত্যেককেই নিজ নিজ গন্ডি থেকে যথাসম্ভব মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং এসকল ব্যবহৃত পেপার ও বই দ্বারা যাতে করে কোন দোকানদার খাবার দ্রব্য পরিবেশন না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের সকলকে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)