শার্শায় স্বর্ণের চেইনকে কেন্দ্র করে মেয়েকে হত্যা করে মায়ের আত্নহত্যা

শার্শার পল্লীতে একটি স্বর্ণের চেইনকে কেন্দ্র করে গর্ভোবতি মা তার ৬ বছরের শিশু কন্যাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাররোধ করে হত্যা করে নিজে গলায় রশি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
রোববার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে ।

আত্নহত্যকারী নারী হলেন শার্শা থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আল-মামুন এর স্ত্রী জুলি খাতুন ও তার মেয়ে আমেনা খাতুন (৬)।

স্থানীয়রা জানায় আমেনা একটি স্বর্নের চেইন গলায় দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি মুদি দোকানে যায়। তখন মুদি দোকানদার আলাউদ্দিন ওরফে গ্যাদার মেয়ে জুলি খাতুন আমেনার গলায় স্বর্ণের চেইন দেখে তার চেইন বলে দাবি করে। সে বলে এটা তার প্রায় ৫/৬ মাস আগে হারিয়ে যায়। এক পর্যায়ে চেইনটি ওই মুদি দোকানদার এর মেয়ে জুলি রেখে দিয়ে চুরির অপবাদ দেয়।

এরপর জুলি ও তার মেয়ে আমেনা বাড়ি ফিরলে তার শশুর শাশুড়ী রাগারাগি করে। এরপর রাত্রে খাওয়ার পর যার যার ঘরে চলে যায়। সকাল ৯ টার সময় আমেনা ও জুলি ঘর থেকে বের না হলে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখে জুলি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। আর মেয়েটি অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে করে সকলের অভিমত হয়ত মেয়েটিকে বালিশ চাপা অথবা শ্বাস রোধ করে মেরে পরে নিজে আত্নহত্যা করেছে ।
জুলির স্বামী মামুন জানায় প্রতিদিনের ন্যায় তার স্ত্রী তাকে সকালে খেতে দেয়। এরপর সে কাজে চলে যায়। সকাল ৯ টার দিকে খবর আসে তার বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়ে আত্নহত্যা করেছে। এরপর সে বাড়ি এসে দুইজনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে।
পাশের বাড়ির জনৈক এক নারী বলেন মামুন এর স্ত্রীর নামে চুরির অপবাদ দেওয়ায় লজ্জা ঘৃণায় সে আত্নহত্যা করেছে।
শার্শা থানার ওসি মু আতাউর রহমান বলেন লাশ উদ্ধার করে পোষ্ট মর্টেম এর জন্য যশোর পাঠানো হয়েছে। আর এ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো নিহতর স্বামী মামুন মুদি দোকানদার আলাউদ্দিনের স্ত্রী রেসমা বেগম ও তার মেয়ে জুলি খাতুন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)