১০ বছরের মধ্যেই জীবন্ত মানুষের মাথা প্রতিস্থাপন!

আগামী ১০ বছরের মধ্যেই দুই ভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে মাথা প্রতিস্থাপন সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের এক নিউরোসার্জন। তার মতে, অত্যাধুনিক স্টেমসেল প্রতিস্থাপন, রোবোটিক ও স্নায়ু সার্জারির সৌজন্যেই এই সাফল্য মিলবে।

ম্যাথু এনএইচএস ট্রাস্ট চালিত হাল ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের সাবেক নিউরোসার্জন ব্রুস ম্যাথু এই প্রতিস্থাপনের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সুষুম্নাকাণ্ডসহ মাথা প্রতিস্থাপন করতে হবে।

তবে এখন যেভাবে স্পাইনাল কর্ড বা সুষুম্নাকাণ্ড থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা চলছে, তা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন এনএইচএসের এই শল্যচিকিৎসক। খবর- দ্য টেলিগ্রাফ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানায়,  গত কয়েক বছর ধরেই কীভাবে মাথা প্রতিস্থাপন করা যায়, তা নিয়ে জোর গবেষণা চলছে। তবে আদৌ জীবিত মানুষের মাথা প্রতিস্থাপন সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ মনে করেন, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়। তবে নিউরোসার্জন ব্রুস ম্যাথুর মতে, এটা অসম্ভব নয়।

এদিকে ইতালীয় নিউরোসার্জন সের্গিও কানাভেরো দুই বছর আগে দাবি করছিলেন, তার নেতৃত্বে চিকিৎসক দল প্রথমবার সফলভাবে মানুষের মাথা প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিস্ময়কর। তবে জীবিত মানুষের মাথা প্রতিস্থাপন করেননি তিনি। চীনের গবেষণাগারে দুটি মৃত মানুষের মাথা প্রতিস্থাপন করেছিল ওই চিকিৎসক দলটি।

এছাড়া সের্গিও কানাভেরো দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছিলেন, এক মানুষের শরীরে অন্য মানুষের মাথা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। কিন্তু ইউরোপ বা আমেরিকার কোনো দেশের সরকারই তাকে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ দিতে চায়নি। নৈতিক কারণেই কানাভেরোকে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয়া হয়।

সূএ-ডেইলি বাংলাদেশ

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)