বাঁশদহায় কুল চাষে বাম্পার ফলন
ধান,শাক,সবজি চাষে আর্থীক ভাবে লোকসানের জন্য বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নে কুল চাষে এবার অগ্রহ প্রকাশ করেছে কুল চাষিরা। আর এই কুল চাষে সাহস করে এগিয়ে আসেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের শফিকুল ইসলাম। তাতেই কুলের বাম্পার ফলন।
সাতক্ষীরা উপজেলার ফসলের মাঠ গুলো এবার কুলে-কুলে ভরে উঠেছে। নানা প্রজাতের কুল চাষে কৃষক এবার লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। এসব কুলে বিভিন্ন জাত হয়ে থাকে যেমন,থাই কুল,কাশ্মীরি আপেল কুল,দেশীয় আপেল কুল,বেবি আপেল কুল, বাউ কুল,নারকুলি কুল ইত্যাদি। ভাল ভাবে চাষের কারণে কুলে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। সরজমিনে বাঁশদহার শফিকুলের কুল বাগানের গিয়ে দেখা যাই কুল গাছের আকার ছোট হলেও কুলের আকার বড়-বড়। এসব কুল গাছে কুলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ গুলো। শফিকুল ইসলাম আরও জানান এবার ৬ বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছি। আল্লাহ চাইলে প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে আর্থিক ভাবে অনেক লাভবান হবো ইনশাঅল্লাহ। সব কুলে বিঘা প্রতি ১০০ হতে ১০২ মন ফলন পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
এবিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা বাবু উত্তম কুমার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সাতক্ষীরার মাঠি কুল চাষের বর্তমান উপযোগী। তাই অন্যে ফসলের চেয়ে কুল চাষে লাভবান হওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন ঠিক সময়ে যদি পোকা দমনে ঔষধ স্প্রে করা যায় তাহলে কুলের কোন সমস্যা থাকবেনা। ফলন বেশি হবে। কৃষক ধান আবাদ করে প্রাই সময় লোকসানের শিকার হচ্ছে। তাই ধানের পরিবর্তে কম খরচে কুল চাষের দিকে ঝুঁকছে সাধারণ গরিব কৃষক। কুল চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন সরকার যদি আমাদের কুল চাষ করতে আর্থিক সাহায্যে করতো তাহলে আরও ভাল ফলন করানো যেতো। অর্থের কারণে আমরা ভাল ভাবে কুল চাষ করতে পারছিনা।