কেশবপুরে বিয়ের ১ মাস ৬ দিনের মাথায় নববধূ হলেন ১ পুত্র সন্তানের মা

যশোরের কেশবপুরে বিয়ের ১ মাস ৬ দিনের মাথায় নববধূর হাতের মেহেদীর রং মুছে যাওয়ার আগেই নববধূ হলেন ১ পুত্র সন্তানের মা। বাথরুমে পুত্র সন্তান প্রসবের পর হত্যা করে বাগানে ফেলে দেওয়ার পর প্রতিবেশীরা বাচ্চার কান্না শুনতে পেয়ে বাড়ির আঙিনার বাগান হতে নবজাত পুত্র সন্তানকে উদ্ধার করে। এরপর নববধূ আত্মহত্যা করার জন্য বহুবার চেষ্টা করেছে।উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের পুত্র আলামিন (১৮) গত মাসের ২২ তারিখে পার্শ্ববর্তি বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের খোপদহি গ্রামের আনিছুর রহমানের কন্যা টিটা বাজিতপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ফতেমা খাতুনের সাথে স্থানীয় নিকাহ রেজিষ্টারকে ম্যানেজ করে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার কাবিনে বিবাহ হয়। বিয়ের ১ মাস ৬ দিন পর গত মঙ্গলবার সকালে তার ১ পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।

এর আগে ফতেমা ও তার মা-বাবা তার গর্ভে সন্তান আছে এই তথ্য গোপন করে বরপক্ষের সহিত প্রতারণা করে তড়িঘড়ি বিবাহ সম্পন্ন করে। নববধূ শ্বশুরালয়ে আসার পর বিভিন্ন সময় তার গর্ভের সন্তানের কারণে সে সমস্যায় ভুগলে এটি স্বাভাবিক সমস্যা বলে মন্তব্য করে। ঘটনার দিন সকালে ফতেমার যখন পেঠে ব্যাথা শুরু হলে তার স্বামী স্থানীয় সাগরদাঁড়ি পল্লী চিকিৎসক বাবুকে সংবাদ দিলে ডাক্তার বাবু রুগিকে দেখে তার গর্ভে সন্তান আছে মন্তব্য করলে নববধূ বেমালুম অস্বীকার করে।

ইতিমধ্যে সন্তান গর্ভপাতের জন্য ডাক্তার বাবু তাকে ৩টি ইনজেকশন দেয়। এরপর তার গর্ভ বেদনা শুরু হলে নববধূ বাথরুমে যায়। সেখানে সে সন্তান প্রসব করে। ওই অবস্থায় সন্তানকে মেরে ফেলার জন্য তার মৃত্যু নিশ্চিত করে বাথরুমের পিছনে ফেলে দেয়। ইতিমধ্যে নববধূর বাথরুমে বিলম্ব দেখে তার স্বামী বাথরুমের দরজা ভাঙতে যায়। তারপর সে বাচ্চাকে বাথরুমের পিছনে ফেলে দিয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে বাথরুমের পিছনে ফেলে দেওয়া নবজাত সন্তানকে বাগানের ভিতর ফেলে দিয়ে তার বাড়িতে আসে।

পার্শ্ববর্তি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ওই নববধূর চাচা শ্বশুর নবজাতকের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে বাগান থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করে এবং সে বাচ্চা জীবিত থাকার কারণে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাতক্ষীরার একটি ক্লিনিকে তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। নবজাত শিশুটি এখন সুস্থ্য রয়েছে। ইতিমধ্যে নববধূ অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে এবং সে বিভিন্ন উপায়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্বামীর পরিবার তাকে নজরবন্দী করে রাখে। খবরটি মূহুর্তের ভিতর ছড়িয়ে পড়লে মেয়ের বাবা-মা সহ তার আপনজন ও ওই সন্তানের ঔরসজাত পিতা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে নববধূ ফতেমা বেগম।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)