কলারোয়ায় বিনোদনের একমাত্র স্থান জাহাজমারী এবি পার্ক

জাহাজমারি এবি পার্ক, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যার অবস্থান। প্রতিদিন শত, শত মানুষ একটু নির্মল, নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে যাচ্ছে এ পার্কে। একজন বিনোদন পিপাসু ব্যক্তি অবসাদ দুর করতে সকল বয়সী মানুষের আনন্দ বিনোদনের জন্য নিজ উদ্যোগে প্রায় শত বিঘা জমির উপর জাহাজমারি এবি পার্কটি নির্মাণ করেন। ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য এড.মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পার্কেটির আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে।

শুরু থেকে অনেক প্রতিকুলতা পেরিয়ে আজ পার্কটি ভ্রমণ পিপাসুদের মনে স্থান করে নিয়েছে। এখানে আছে বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি, রয়েছে ৫ পা বিশিষ্ট গরু, শিশুদের জন্য রয়েছে দোলনা, নৌকা, ঝুলান্ত সিঁড়ি, নাগরদোল, দুটি ৩শ বছরের জাহাজ, বানোর, শিয়াল, বিভিন্ন প্রজাতীর পাখি, অজগর সাপ ইত্যাদি। শুক্রবার (২৫অক্টোবর) সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে-কলারোয়া পৌরসভা থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে নিরিবিরি পরিবেশে এ পার্কটি অবস্থিত, কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভাল না থাকায় ভ্রমণকারীরা দুর্ভোগে পড়েন, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পার্কে আসা মনিরুল ইসলাম, জাহিদুর রহমান, আজগার আলী ও শিশু লামিয়া জানান-এ পার্কের পরিবেশ খুবই ভাল এখানে বিনোদনের অনেক উপকরণ রয়েছে, কিন্ত যোগাযোগ ব্যবস্তা ভাল না থাকায় আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে।

এব্যাপারে পার্কটির ম্যানেজার জানান, আমাদের পার্কের পরিবেশ ভাল থাকায় একটু বাড়তি বিনোদনের জন্য অনেক দূর-দুরন্ত থেকে মানুষ আসে। আমাদের এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্তা ভাল, তাই মানুষ নির্ভয়ে এখানে ছুটে আসেন। কথা প্রসঙ্গে পার্কটির মালিক আবুল বাসার বলেন,মানুষ মানুষের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করার অভিপ্রায়ে এ পার্কটি নির্মাণ করি। আমি এ গ্রামের মানুষ, পূর্বপুরুষদের নিকট থেকে জেনেছি প্রায় ৩শত বছর আগে এ স্থানে বড় নদী ছিলো, নদীতে বড়বড় জাহাজ চলত, পার্কটির ঠিক এ স্থানে একটি বিদেশী জাহাজ ডুবে যায়, সেই থেকে এ এলাকাটি জাহাজমারী নামে পরিচিতি পায়। তাই এ স্থান টাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য জাহাজমারি আবুল বাসার (এবি) পার্কটি গড়ে তুলেছি।

এ পার্কে যেমন মানুষ একটু সময় কাটিয়ে স্বস্তি পায় তেমনি এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। সরকারি ভাবে কোন সহযোগীতা পেলে ও রাস্তাটি প্রস্ত এবং সংস্কার করা হলে পার্কটিতে বিনোদন পিপাশুদের ঢল নামবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া পার্কের মালিক আবুল বাসার আরো জানান-সন্ধ্যার পরে পার্কের গেটে তালা মারা হয়। সকাল ১০ টা থেকে পার্ক খোলা হয়। প্রতিনিয়ত থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা পার্ক পরিদর্শন করেন। পার্কের পরিবেশ দেখে ওই সকল কর্মকর্তারা প্রশংসা করেন। আশা করছি দ্রুত এমপি মহোদয় পার্কে যাতায়াতের রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বরাদ্ধ দিবেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)