কর্মক্ষেত্রে ৬৪% কর্মী ব্যবস্থাপকের চেয়ে রোবটকে বেশি বিশ্বাস করে

তথ্যপ্রযুক্তি মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। ঘরে বসেই মানুষ এখন নিয়ন্ত্রণ করছে বিশ্বকে। তবে প্রযুক্তির প্রসারে মানুষের কর্মক্ষেত্রে কাজের পরিধি কমছে। বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে ব্যবস্থাপকের চেয়ে এখন রোবটের ওপরে আস্থা বাড়ছে মানুষের। ওরাকল এবং ফিউচার ওয়ার্কপ্লেসের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘এআই এট ওয়ার্ক স্টাডি’ এর দ্বিতীয় বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বিশ্বের ১০টি দেশের ৮৩৭০ জন কর্মী, ব্যবস্থাপক এবং মানবসম্পদ কর্মকর্তাদের ওপরে পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে, আটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মানুষ এবং প্রযুক্তির সম্পর্ক বদলে দিয়েছে। মানবসম্পদ বিভাগের দায়িত্বকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে এবং নতুন মেধাবীদের কর্মক্ষেত্রে যুক্ত করতে ও তাদের বিকাশ ঘটাতে ব্যবস্থাপকদের নতুন করে ভাবতে হবে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে শতকরা ৮৯ শতাংশ এবং চীনে ৮৮ শতাংশ কর্মকর্তা এখন মানুষের চেয়ে রোবটের ওপরে বেশি আস্থাশীল। একটি রোবটকে কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী হিসেবে পেয়ে শতকরা প্রায় ৬৫ শতাংশ কর্মকর্তা সন্তুষ্ট। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে শতকরা ৮২ শতাংশ মানুষ মনে করেন তাদের ব্যবস্থাপকের চেয়ে রোবট ভালো কাজ করতে পারে। এদিকে কর্মক্ষেত্রে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে শতকরা ৪৪ ভাগ নারী রোবটের ওপরে আস্থাশীল হচ্ছে।

‘ওরাকল’ এর হিউম্যান ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ক্লাউড বিজনেস গ্রুপের এসভিপি, এমিলি হি বলেন, ‘সারাবিশ্বে মেশিন লার্নিং এবং এআই-এর উন্নতি মূলধারায় পৌঁছানোর কারণে মানুষ ও প্রযুক্তির মধ্যে যোগাযোগ পদ্ধতির পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষেত্রে এআই পদ্ধতি সংযুক্ত করা জন্য এডমিন প্রশাসন সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। এভাবে কাজ করতে পারলে কর্মক্ষেত্রে নতুন মাত্রা এনে দিবে।’

ফিউচার ওয়ার্কপ্লেসের গবেষণা পরিচালক ড্যান শ্যাওবেল বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই) গ্রহণ করছে এবং এর মাধ্যমে এডমিন প্রশাসন বিভাগকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, এ আই শুধু কর্মী ও ব্যবস্থাপকদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করেনি বরং ব্যবস্থাপকদের ভূমিকাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গবেষণায় দেখা উঠে এসেছে, ভবিষ্যতে যদি ব্যবস্থাপকরা তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতার ওপর নজর দেয় এবং রুটিনমাফিক কাজগুলো রোবটের দিকে ছেড়ে দেয় তবে প্রতিষ্ঠান আরো গীতিশীল হবে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, এআই কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ সুবিধা দিলেও কর্মীদের মধ্যে তাদের সুরক্ষা ও গোপানীয়তা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে।’ সাভান্থা সংস্থা গত জুলাই থেকে এই জরিপের কাজ শুরু করে ৯ আগস্ট শেষ করেছে। ৬টি ভাষায় ও ১৮ থেকে ৭৪ বছর বয়সের কর্মকর্তাদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপে এ আই সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)