সোহরাব মিথ্যাচারী বিধি মোতাবেক টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ বিক্রি হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সন্ত্রাস চাঁদাবাজি খাসজমি দখলদার এবং সামাজিক সংকট সৃষ্টি করে ফায়দা লোটার কাজে ওস্তাদ শেখ সোহরাব হোসেন তালার শিরাশুনি গ্রামের ঘরজামাই। ডুমুরিয়ার বেতাগাঁ গ্রামের এই সোহরাব মিথ্যাচার ও হয়রানি করে মানুষকে নানাভাবে ঠকিয়ে আসছেন। একইভাবে তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তালার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিদা আফরিন ও সেতু পরিচালক আবুল হোসেনসহ অনেককে জনসমক্ষে হেয় করার চেষ্টা করেছেন। নিরীহ মানুষকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে ফায়দা লুটবার নজিরও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি সেতু বাংলাদেশ এর কেউ নন।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তালার সেতু পরিচালক এমএম আবুল হোসেন। তিনি বলেন সামাজিক বনায়নের আওতায় সড়কধারে লাগানো ২৬/২৭ বছর বয়সের বৃক্ষ কর্তন নিয়ে সোহরাব যে মিথ্যাচার করেছেন তা আমরা সম্মিলিতভাবে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।

লিখিত বক্তব্যে আবুল হোসেন বলেন জেলা ও উপজেলা বন উন্নয়ন কমিটির সুপারিশে জেলা প্রশাসক ও জেলা বন সংরক্ষণ কর্মকর্তার লিখিত পত্র অনুযায়ী তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীর্ঘ বয়সী বৃক্ষ সমূহ কর্তন করার সিদ্ধান্ত দেন। এ অনুযায়ী টেন্ডার আহবান করা হয়। বনবিভাগের প্রচলিত আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়। টেন্ডার অনুযায়ী ৩৬ লাখ টাকায় বিক্রি হয় গাছগুলি। এখন পর্যন্ত এ টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অ্যাকাউন্টে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন বিধি অনুযায়ী ওই টাকার ৬০ শতাংশ উপকারভোগীরা, ২০ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদ এবং ২০ শতাংশ সেতুর পাবার কথা রয়েছে। আবুল হোসেন বলেন সোহরাব হোসেন এই টাকায় ভাগ বসাতে চেয়েছিল। এতে ব্যর্থ হয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে ইউএনও নেতৃত্বাধীন পুরো ব্যবস্থাপনাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন সমুদয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে তালার শিরাশুনি, সুভাষিনী, ও লাউতাড়া গ্রামে ১৭ টি গ্রুপ তৈরি করা হয়। শেখ সোহরাব হোসেন কোনো সুবিধা না পেয়ে একটি মামলা করেন আদালতে। তার মামলা দ্রুতই খারিজ হয়ে যায়। এর আগে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বৃক্ষের সুফলভোগী ও নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৃক্ষসমূহ বিক্রি করেন। ক্রুদ্ধ ও প্রতারক সেহরাব সেতু পরিচালকের ভাই এমএম মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেও পরে হটে যান। তিনি এক ব্যক্তিকে কথিত ‘একতা সমিতি’র সদস্য সাজিয়ে প্রতারনারও চেষ্টা করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে আবুল হোসেন বলেন ৯০ এর দশকে সেতু বাংলাদেশ এর মাধ্যমে সামাজিক বনায়নের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পে বিরল সাফল্য অর্জন করায় সেতু পরিচালক আবুল হোসেন ১৯৯৪/৯৫ তে জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণ পদক এবং ১৯৯৫/৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে রৌপ্য পদক লাভ করেন। অথচ এই কাজে স্বীকৃতি দুরে থাক তা নিয়ে বারবার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন সোহরাব।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুফলভোগী মসলেম সরদার,মো. আববক্কার, নুর ইসলাম সরদার, আইউব আলি মোড়ল, আবুল কাসেম, আমির আলি সরদার,আবুবক্কার, মুক্তার মোড়ল, সেলিম হোসেন, হাসান আলি, মোহাম্মদ আলি সরদার, রেজোয়ন শেখ প্রমূখ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)