কাশ্মীরের পর এবার ‘উত্তাল’ দার্জিলিং

বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারত সরকার। শুধু তাই নয়, রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে ভাগ করা হয়েছে। আর তাতেই আশার আলো দেখছে দার্জিলিংয়ের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তারা দার্জিলিংকে বিধানসভাসহ আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি অঞ্চলটিকে উত্তাল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। খবর এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এর আগেও দীর্ঘকাল ধরে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে উত্তাল হয়েছে দার্জিলিং। রোশন গিরির বরাত দিয়ে ‘গোর্খাল্যান্ড’পন্থী নেতা সুপ্রিমো বিমল গুরুং বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে, আমরা পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি জানাচ্ছি। বিজেপিও তাদের ইশতেহারে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমরা মনে করি, বিধানসভাসহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করার এটাই সঠিক সময়। আমরা খুব দ্রুতই এটা নিয়ে বিক্ষোভ করবো।’

সুপ্রিমো বিমল গুরুং

সুপ্রিমো বিমল গুরুং

এই দাবিতে কিছুদিনের মধ্যেই যে দার্জিলিং উত্তপ্ত হতে চলেছে তারও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। সেখানকার বিজেপির এমপি রাজু সিং বিস্তও এই দাবিতে সহমত জানিয়ে বলেছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ের মানুষের দাবির স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হবে বলে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবার তা বাস্তবায়িত হবেই।

তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘রাজ্য ভাগ করার চক্রান্ত সফল করতে দেয়া হবে না’। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জম্মু-কাশ্মীর ভাগের সিদ্ধান্ত দার্জিলিং পাহাড়ের পৃথক রাজ্যের দাবিকে উসকে দিয়েছে।

১৯৮০ সালের শেষের দিকে সুভাষ ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ-এর নেতৃত্বে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে চরম আন্দোলন শুরু হয় পাহাড়ে। এরপর ২০১৭ সালে ফের একই ইস্যুতে আন্দোলনে নামে বিমল গুরুং-এর নেতৃত্বাধীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেই আন্দোলন ১১ জন প্রাণ হারান, পাহাড় অবরুদ্ধ হয়ে থাকে ১০৪ দিন। জম্মু-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাক্রম কি পাহাড়ে আবার উত্তেজনা ডেকে আনবে? অনিশ্চয়তায় সাধারণ মানুষ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)