সাতক্ষীরা জেলা যুগ্ম জজ-২ আদালতের পেশকার মহিদুলের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ

সাতক্ষীরা জেলা যুগ্ম জজ-২ আদালতের পেশকার ও অফিস সহকারী মহিদুলের বিরুদ্ধে অবৈধ ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে জেলা জজ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একজন আইনজীবী সহকারি। এঘটনায় ওই দুর্নীতিবাজ পেশকারকে ইতোমধ্যে অন্য আদালতে স্থানান্তর করেছেন সাতক্ষীরা জেলা জজ।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের ভবেন সরকারের পুত্র জেলা জজ আদালত এলাকার আইনজীবী সহকারি দেবাশীষ সরকার জেলা জজ যুগ্ম-২ আদালতের সেশন ১৯২/১৭ সি আর ০২/১৭ (সাত) মামলায় নিয়োগকৃত আইনজীবী সহকারী হিসাবে মামলা দেখাশোনা করেন। জেল জজ যুগ্ম-২ আদালতের অফিস সহকারী মহিদুল ইসলাম জজ ফারুক ইকবালের নামে প্রকাশ্যে তাদের নিকট

বিভিন্ন মামলার রায়, খালাস, সাজা প্রদান করে দেওয়ার নামে অবৈধ ঘুষ গ্রহণের প্রস্তাব দেয়। প্রতিটি মামলার দিন দেওয়ার নাম করে দুইশত টাকা আদায় করে। ঘুষ ছাড়া মামলার অফিস কজলিষ্ট তালিকা রায় দিন সহ মামলার নম্বর উঠায় না। এবিষয়ে আইনজীবী এড. নুরুল আমিন ও এড. অসীম কুমার সহ অনেক আইনজীবী জজ ফারুক ইকবালকে বিষয়টি অবহিত করলেও কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। এর জের

ধরে গত ২১ জুলাই ১৯ দুপুর ২টার দিকে সেশন ১৯২/১৭ নং মামলার বিষয়ে খোজ নিতে গেলে পেশকার মহিদুল কে কজ লিস্ট দেখি। সেখানে ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯ এর পর হতে কজ লিস্ট তালিকায় ধার্য দিন পড়েনি। এবিষয়ে আইনজীবী সহকারি দেবাশীষ জানতে চাইলে মহিদুল বলেন, এই মামলার রায় হয়ে গিয়েছে। তোমার আসামীর নিকট টাকা চাইছিলাম দাওনি। তোমার স্যার মামলার বারো বাজিয়েছে। এবিষয়ে

তাৎক্ষনিক এড. নুরুল আমিনকে অবহিত করলে এড. অসীম, এড. রফিকুলসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সেখানে উপস্থিত হলে পেশকার মহিদুল ১৯২/১৭ নং মামলটির কজলিস্ট তালিকায় ধার্যদিন উঠায়। উল্লেখ্য : ওই মহিদুল ৭ লক্ষ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে পেশকার হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করে।

এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ মফিজুর রহমান বলেন,অভিযুক্ত পেশকারকে ইতোমধ্যে অন্য আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)