কুশুলিয়া ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ৫ নং কুশুলিয়া ইউনিয়নের উপ-নিবর্বাচনে নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরন বিধিমালা লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ঘোড়া প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ এবাদুল ইসলাম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী নৌকা প্রতিকের শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু ও তার কর্মী সমর্থকরা প্রতিদিন নির্বাচনী প্রচারনায় আমার ও আমার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও খুন-জখমের ভয় দেখাচ্ছেন। এমনকি জোর করে ভোটের আগের দিন রাতেই সীল মারার ব্যবস্থা করে রেখেছেন বলে প্রচার দিচ্ছেন। এছাড়া কেন্দ্রের ভিতরে টেবিলেই প্রকাশ্যে নৌকায় সীল না মারলে তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে কেন্দ্রের বাহিরে বের করে দেবেন বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন বাজে উক্তি করছেন। এমন অবস্থায় আমি সংকিত যে কোন মুহুর্ত্বে হায়নার ন্যায় তারা আমার ও আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর ঝাপিয়ে পড়তে পারে এবং ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। আমি আশংখা করছি ভোটের পূর্বেই আমাকে গুম কিম্বা অপহরন করতে পারে প্রতিপক্ষ গং। ইতিমধ্যে আমার নির্বাচনী প্রচারনায় বাধাসহ ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের ব্যানার পোষ্টার তারা ছিড়ে ফেলেছে। অনেক জায়গায় ব্যানার পোষ্টারে অগ্নি সংযোগও করেছে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকরা তাদের ভয়ে ভীত হয়ে প্রচারনা চালাতে পারছিনা। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, আইন ও আদালতের প্রতি বিশ্বাসী। আমি চাই ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। রাতের বেলায় সন্ত্রাসী লোকজন দিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমার কর্মী-সমর্থকদের তাদের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দি¦ প্রার্থী শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু একজন ভয়ঙ্কর প্রভাব শালী ব্যক্তি। সে নিজেকে সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দিয়ে সাধারন ভোটারদের প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন।

আমার কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মামলা মোকদ্দমায় জড়ানোসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। রাতের অন্ধকারে তিনি একজন দূধর্ষ ক্ষমতাসীন। তার অধীনে বহু সন্ত্রাসী কাজ করছে। তার হুমকিতে আমিসহ আমার কর্মীরা এবং সাধারন ভোটাররা দিশেহারা। প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর ছেলে সাকিবসহ তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা গত রবিবার সন্ধ্যায় কালিগঞ্জ কাকশিয়ালী ব্রিজের উপর থেকে আমার প্রচার মাইক ও ব্যাটারি চালিত ভ্যান ভাংচুর করে নদীতে ফেলে দিয়েছে এবং ভ্যানচালককে বেদম পিটিয়ে পোষ্টার, লিফলেট ও ব্যানার কেড়ে নিয়েছে। এসব বিষয়ে আমি জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিস বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। এমতাবস্থায় তিনি (স্বতন্ত্র প্রার্থী এবাদুল ইসলাম) আগামী ২৫ জুলাই ভোটের দিন সকালে উপজেলা সদর থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং ভোটের দিন পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগের জোর দাবী জানিয়েছেন। এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, খান আব্দুল ওয়াদুদ ও আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)