ফরিদের চায়ের দোকানটিও রাতের আধারে উধাও করে দিল আশরাফ

সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুতের সামনে ছোট্ট একটি চায়ের টল দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা ফরিদ হোসেনের। তবে সেটিও শনিবার ভোররাতে জামায়াত নেতা আশরাফ গাজীর নেতৃত্বে তার বাহিনী উধাও করে দিয়েছে। টল দোকানটির মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধারণের ৮-১০ হাজার টাকার মালামালেরও কোন হদিস নেই।

পাটকেলঘাটা এলাকার বড়বিলা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেন। অসহায় এ পরিবারটির বসতভিটা ছাড়া কিছুই নেই।

দিশেহারা ফরিদ হোসেনের মা ছফুরা বেগম জানান, এক মাস আগে একটি ছোট কাঠের টল দোকান দিয়ে ছেলে ফরিদ হোসেন চা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছিল। কিন্তু জায়গাটি দখল নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল একটি চক্র। শনিবার ভোররাতে কাঠের দোকানটি উধাও করে দিয়েছে। দোকানের মধ্যে থাকা ৮-১০ হাজার টাকার মালামালেরও কোন হদিস নেই।

তিনি আরও জানান, তৈলকুপ গ্রামের জামায়াতের নেতা আশরাফ গাজীসহ তার সহযোগী নুর ইসলাম, আশকার গাজী, শাহাদাত মোড়ল, সাইদ হোসেন কয়েকদিন দোকানটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। শনিবার ভোররাতে তারাই দোকানটি উধাও করে দিয়েছে। রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকানও দিতে পারলো না আমার ছেলে ফরিদ।

পাটকেলঘাটা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, জায়গাটি একটি পতিত সরকারি জায়গা। এছাড়া সেখানে আবর্জনায় পূর্ণ থাকে। একটি চায়ের দোকানের মাধ্যমে জায়গাটি একদিকে যেমন পরিচ্ছন্ন হয়েছিল অন্যদিকে একটি অসহায় পরিবারের বেঁচে থাকার মত উপায় হয়েছিল। তবে বিএনপি জামায়াতের এই চক্রটি ছেলেটির সেটিও করতে দিতে চায় না। ২০১৩-১৪ সালে জামায়াত শিবিরের সেই তান্ডবের মত রাতের আধারে অসহায় ছেলেটির দোকান গায়েব করে দিয়েছে। একজন স্বনামধন্য পুলিশের ডিআইজির পরিচয় ব্যবহার করে এসকল অপকর্ম করছে।

তিনি বলেন, কত সরকারি রাস্তার জায়গা বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবে দখল করে স্থাপনা করেছে তার কোন ইয়াত্তা নেই। মানবিক দিক বিবেচনা করে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)