বড় জয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড, অপেক্ষায় নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড। এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে।

বুধবার ইংল্যান্ডের চেস্টার-লি-স্ট্রিটে প্রথমে ব্যাট করে জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩০৫ রান করে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৬ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। এছাড়া ৬০ রান করেন জেসন রয়।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ১৬.৪ ওভারে ৬৯ রানে হেনরি নিকোলস, মার্টিন গাপটিল, কেন উইলিয়ামসন, ও রস টেইলরের মতো তারকা চার ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কিউইরা। পঞ্চম উইকেটে জেমস নিশামকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়েন টম লাথাম।

এরপর সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারায় কিউইরা। ২৭ বলে ১৯ রান করে ফেরেন নিশাম। মাত্র ৩ রানে ফেরেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া টম লাথামকে সাজঘরে ফেরান লিয়াম প্লাঙ্কেট। তার আগে ৬৫ বলে ৫৭ রান করেন তিনি।

সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে টম লাথামের বিদায়ের পর আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন মিসেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্টরা।শেষ পর্যন্ত ৪৫ ভারে ১৮৬ রান তুলতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। ১১৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় ইংল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ইংলিশ দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো।

উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৬৭ রান তুলে নেন জেসন রয় ও জনিন বেয়ারস্টো। অনবদ্য ব্যাটিং করে দুজনই জোড়া ফিফটি তুলে নেন। উদ্বোধনী জুটিতে ১৮.৪ ওভারে ১২৩ রান যোগ করেন তারা।

তাদের এই জুটি ভাঙেন জেমস নিশাম। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জেসন রয়। তার আগে ৬১ বলে আটটি চারের সাহায্যে ৬০ রান করেন রয়।

তার বিদায়ের পর ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭১ রান যোগ করেন জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো।

১ উইকেটে ১৯৪ রান করা ইংল্যান্ড পরের ৭৮ রানে হারায় ৬ উইকেট। ২৫ বলে ২৪ রান করে ফেরেন জো রুট। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া জনি বেয়ারস্টো ম্যাট হেনরির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন।

তার আগে ৯৯ বলে ১৫টি চার ও এক ছক্কায় ১০৬ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। ১২ বলে ১১ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার জস বাটলার। ২৭ বলে ১১ রান করে মিসেল স্যান্টনারের প্রথম শিকার বেন স্টোকস। ১১ বলে মাত্র ৪ রানে ফেরেন ক্রিস ওকস।

ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন ইয়ন মরগান। অসাধারণ ব্যাটিং করে যাওয়া মরগান ম্যাট হেনরির বলে মিসেল স্যান্টনারের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

তার আগে ৪০ বলে পাঁচটি বাউন্ডারিতে ৪২ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক।

শেষ দিকে আদিল রশিদ ও লিয়াম প্লাঙ্কেটের ১৬ ও ১৫ রানের ছোট ও কার্যকরী ইনিংসে ৮ উইকেটে ৩০৫ রানে থামে ইংল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০৫/৮ (বেয়ারস্টো ১০৬, জেসন রয় ৬০, মরগান ৪২; নিশাম ২/৪২, হ্যানরি ২/৫৬, বোল্ট ২/৫৬)।

নিউজিল্যান্ড: ৪৫ ওভারে ১৮৬/১০ (লাথাম ৫৭, টেইলর ২৮, উইলিয়ামসন ২৭; মার্ক উড ৩/৩৪)।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)