পুত্র সন্তান লাভের দোয়া

সন্তান মহান আল্লাহ তাআলার বিশেষ নিয়ামত। আল্লাহ তায়ালাই মানুষকে সন্তান দান করেন।আল্লাহ তাআলা কাউকে ছেলে সন্তান দেন কাউকে মেয়ে। আবার কাউকে ছেলে-মেয়ে উভয়েই দেন। আবার কাউকে দেন না। এটা মহান রবের একান্ত নিজস্ব ফায়সালা।

সন্তান বাবা মায়ের চোখের শীতলতা। সে হোক পুত্র সন্তান অথবা কন্যা সন্তান। তবে অনেকেই সন্তান হিসেবে ছেলে সন্তানই চেয়ে থাকেন।

হজরত ইবরাহিম (আ.) একসময় নিঃসন্তান ছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া করলেন সৎ পুত্র সন্তানের জন্য। আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করলেন। তাকে নেক পুত্র সন্তান দান করলেন।

তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন, রাব্বি হাবলী মিনাস সা-লিহীন অর্থাৎ হে আমার প্রভু! আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করো।’ (সুরা : সাফফাত, আয়াত : ১০০)

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিঃসন্তান মা-বাবাকে এ দোয়া শিখিয়েছেন, ‘রব্বি লা-তাযারনি ফারদাঁও ওয়া আন্তা খাইরুল ওয়ারিছিন। অর্থাৎ হে আমার রব, আমাকে একা রেখো না। তুমি তো সর্বোত্তম উত্তরাধিকারী।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৮৯)

সৃষ্টির কাছে কোনো কিছু কামনা নয়। বরং আল্লাহ তাআলা নিকট চাওয়াই হলো ইবাদাত। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব চাওয়া-পাওয়া তার মহান দরবারে প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

হজরত জাকারিয়া (আ.) বার্ধক্য পর্যন্ত নিঃসন্তান ছিলেন। অন্যদিকে হজরত মরিয়ম (আ.) বায়তুল মোকাদ্দাসে তার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। একদিন তিনি দেখতে পেলেন আল্লাহ তাআলা ফলের মৌসুম ছাড়াই হজরত মরিয়ম (আ.)-কে ফল দিয়ে রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন। তখন তার মনে সন্তানের জন্য সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে। তাই তিনি আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করেন।

তিনি বলেন, ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুরিরয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দুআ। অর্থাৎ হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা কবুলকারী।’ (সুরা : আলে ইমরান,  আয়াত : ৩৮)

সুতরাং কোনো মানুষের কাছে সন্তান কামনা করা যাবে না। সন্তান লাভের জন্য অবৈধ ও অনৈসলামিক উপায় অবলম্বন করা যাবে না। নিঃসন্তান দম্পতির উচিত, আল্লাহর ওপর ভরসা করে উল্লিখিত দোয়া পাঠ করা।

আল্লাহর খাঁটি বান্দাদের পরিচয় দিয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, তারা পুণ্যবান স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দোয়া করেন।

ইরশাদ হয়েছে, ‘রব্বানা-হাবলানা-মিন্ আয্ওয়াজ্বিনা ওয়া যুররিয়্যা-তিনা-কুর্রতা আ’ইয়ুন, ওয়া জা’আল্না-লিল মুত্তাকিনা ইমামা। অর্থাৎ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর করো এবং আমাদের সংযমীদের আদর্শস্বরূপ করো।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৭৪)

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)