বুধহাটায় ষড়যন্ত্র ও মামলার হাত থেকে বাঁচতে দাউদের সংবাদ সম্মেলন

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের দাউদ হোসেন একই গ্রামের লোকমান সরদারের কন্যা শিল্পীর ষড়যন্ত্র ও মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রবিবার সকালে বুধহাটা বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
খবির উদ্দিন সরদারের পুত্র দাউদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে শে^তপুর গ্রামের মইদুল ইসলাম জানান, দাউদের সাথে শিল্পীর ১ম বিয়ে হয় ২০১১ সালে ২৩ মার্চ দেড় লক্ষ টাকা দেনমোহরে। বিয়ের পর ষড়যন্ত্রকারী শিল্পী স্বামীর অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিতে থাকে। দাউদ বুঝতে পারলে শিল্পী বিয়ের কাগজ নষ্ট করে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে ৪০১/১১ নং ধর্ষন মামলা রুজু করে। তখন বাধ্য হয়ে দাউদ ২৫/৭/১১ তাং ৪ লক্ষ টাকা দেনমোহরে এবং দেড় বিঘা জমি ও ভিটে বাড়ি থেকে আরও ৫ কাঠা তার নামে লিখে দিয়ে পুনরায় বিয়ে করে রক্ষা পান। কিন্তু না এরপরও শিল্পী স্বামীকে ১২/১১/১১ তাং তালাক প্রদান করে। এরপর মাছের ঘেরে নিয়ে তাকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আদালতে ২৮৮/১২ নং মামলা দায়ের করেন। বাধ্য হয়ে দাউদ ২৩/১/১২ তাং পুনরায় তাকে বিয়ে করে মামলা থেকে রক্ষা পান। এরপর ফৌঃকাঃবি ১০৭ ও ১১৭ ধারায় ৫৭০/১২ নং মামলা করলে বিবাদী ৪ ভাই মামলা থেকে অব্যাহতি পান। ষড়যন্ত্রকারী শিল্পী কিছুদিন যেতে না যেতে ২৩/১০/১৬ তাং আবারও স্বামীকে তালাক প্রদান করে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে আবারও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে তাদের সন্তান রিহান এর অস্স্থুতার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ফাঁদে ফেলে দেড় লক্ষ টাকা কাবিন করে বিয়ে করতে বাধ্য করে। পরবর্র্তীতে আড়াই লক্ষ টাকার ভুয়া কাগজ দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করলে দাউদ ১২/২/১৯ তাং ডাকযোগে তালাক নামা পাঠিয়ে দেয়। তালাক পেয়ে ৩১/৩/১৯ তাং শিল্পী পুনরায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ৮৭/১৯ নং মামলা রুজু করে। যেখানে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার ক্লেমও করে। এছাড়া গ্রাম আদালতে পৃথক মামলা করলে আদালতে তাকে শুনানী না করে ২৫/৩/১৯ তাং ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়। বাধ্য হয়ে তিনি ১২/৬/১৯ তাং ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তিনি জানান, প্রকৃতপক্ষে তিনি স্ত্রীর নামে আশা সমিতি থেকে ৭০ হাজার টাকা উঠান এবং শাশুড়ির মাধ্যমে ঐ টাকা তিনি নেন। পরবর্তীতে আশা সমিতিকে ২০টি কিস্তিতে দেড় হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। শিল্পী ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দাবী করে মিথ্যে মামলা করায় তিনি বক্রী টাকা পরিশোধ বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, শিল্পী একজন সুদখোর ও বিভিন্ন অপরাদের সাথে জড়িত। তার ষড়যন্ত্রে ইতিমধ্যে এজহার আলি সরদারের পুত্র আজহারুল, মৃত হানিফ সরদারের পুত্র আঃ খালেক, মজি মল্লিকের পুত্র রাজ্জাক, খোরশেদ সরদারের পুত্র সাইদ, কফিলদ্দিন ঢালীর পুত্র আঃ করিমসহ অনেকে চরম ক্ষতিগ্রস্ত ও কেউ কেউ সর্বশান্ত হয়েছেন। তার (দাউদের) কাছ থেকে এ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং সুদের কারবার করে এখন বহু অর্থের মালিক হয়েছে শিল্পী। দালাল চক্রের সহযোগিতায় সে এ কারবারের পাশাপাশি বহু মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফেলে মানুষকে সর্বশান্ত করে চলেছে। তারা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)