আজও ২৫ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায়

বরিশাল ও দিনাজপুর চিরিরবন্দরের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। দুই জেলার ২৫ গ্রামের মানুষ ৩০ রোজা পূরণ করে ঈদের জামাত আদায় করেন।

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ২০ গ্রামের প্রায় এক হাজার দুইশ নারী-পুরুষ বুধবার রোজা রেখেছেন। উপজেলার বাঙ্গিলা হামিউস সুন্নাহ্ কওমি মাদরাসার সাত শিক্ষক ও আড়াইশ ছাত্রসহ ২৪৫টি পরিবারের সদস্যরা ৩০টি রোজা পূর্ণ করে ঈদ উদযাপন করেন।

ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান মাওলানা আবদুল কাদের বলেন, হাদিসে আছে– ‘চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ পালন করো।’ কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটির প্রথম ঘোষণা কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে ঠিক থাকলেও রাত ১১টার ঘোষণা সঠিক হয়নি। তাই কোরআন ও সুন্নাহতে বিশ্বাস করে আমরা রোজা রেখেছি।

তিনি বলেন, আমার মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্রসহ আশপাশের ধুরিয়াইল, ধানডোবা, নন্দনপট্টি, চাঁদশী, বড় কসবা, চেংগুটিয়াসহ ২০টি গ্রামের মানুষ বুধবার সেহরি খেয়ে রোজা রাখেন।

অপরদিকে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ৫ নম্বর আব্দুলপুর ইউপির কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ, শুকদেবপুর, নান্দেড়াই, ৮ নম্বর সাইতারা ইউপির দক্ষিণ পলাশবাড়ী ও ৪ নম্বর ইসবপুর ইউপির বিন্যাকুড়ি, দক্ষিণ নগর গ্রামের আংশিক প্রায় ৪ হাজার মানুষ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন। এ নিয়ে চিরিরবন্দরে টানা তৃতীয় দিন ঈদের নামাজ হলো।

এর আগে এ উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের মানুষ সৌদির সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার ঈদের নামাজ আদায় করেন। এছাড়া বুধবার সারাদেশের মতো ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন অনেকে।

এ দিন সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত হয় মেরাইডাঙ্গা ঈদগাহ মাঠে। এখানে ইমামতি করেন ইমাম নাজমুল হক হামদানী ও চিরিরবন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইমামতি করেন ইমাম আব্দুল মান্নান।

ইমাম আব্দুল মান্নান বলেন, চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে আমরা তারাবির নামাজ আদায় করি ও সেহরি খেয়ে রোজা রাখি। তাই ৩০ রোজা পূরণ করে ঈদের নামাজ আদায় করলাম।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)