সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের সরকারি হাসপাতাল জিম্মি মিজানের কাছে

 ঔষধ কোম্পানির সিনিয়র ম্যাডিকেল প্রমোশন হয়ে হাসপাতালের গেস্ট রুমে থাকেন তিনি। হাসপাতালের ডাক্তার নার্স ও কর্মচারীদের ভিতরে এক অদৃশ্য ভীতি সঞ্চার করে রেখে রামরাজত্ব কায়েম করে চলেছে  এমনই  অভিযোগ উঠেছে মিজানের বিরুদ্ধে। তার কথার বাইরে গেলে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কারও চাকরি করা হবেনা এমন হুমকি দিয়ে আসছে এ্যাস্ট্রা বায়ো- ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের সিনিয়র ম্যাডিকেল প্রমোশন অফিসার মিজানুর রহমান।

সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও বর্তমান সাতক্ষীরা ৩ আসনের সাংসদ সদস্য আ.ফ.ম রুহুল হকের ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তি হিসেবে নিজেকে জাহির করে শত অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে মিজানুর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন জানান, মিজান একজন ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেনজেটিভ। কিন্তু সে ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে পড়ে থাকে।

এমনকি ডাক্তারদের জন্য হাসপাতালে একটি গেস্ট রুম বরাদ্দ আছে। কিন্তু বর্তমানে মিজান দখল করে নিয়ে ব্যবহার করছে রেস্ট ও রাতে থাকার রুম হিসেবে। ওই রুমের চাবি তার কাছেই থাকে এজন্য কোন ডাক্তার সেখানে রেস্ট নিতে পারেনা।

এছাড়া তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল রেখে দেয় হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের ভিতরে। ওই হাসপাতালের একজন নার্সের সাথে রয়েছে তার অনৈতিক সম্পর্ক। ডাক্তারদের ওপর ও হাসপাতালের স্টাফদের উপর চালিয়ে যাচ্ছে যত খবর দাড়ি। তাছাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসারের পরপরই হাসপাতালে সবকিছু চলে তার কথামত।

দীর্ঘ ১০ বছর ধরে হাসপাতালে চালিয়ে যাচ্ছে তার এই রাজত্ব। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না তার কারণ সে বলে এমপি সাহেবকে সে যেটা বলে সেটা শোনে। এজন্য সে হাসপাতালে যেটা করবে সবাইকে সেটা মেনে নিতে হবে। কোন ডাক্তার,নার্স, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী যে হোক তার কথার অবাধ্য হলে এমপি সাহেবকে বলে তাকে ওই হাসপাতাল থেকে তাড়িয়ে দিবে সে। সবার মনে এই ভীতি সঞ্চার করে একজন রিপ্রেনজেটিভ হয়ে সরকারি হাসপাতালে শত অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

এসকল বিষয়ে জানতে চাইলে এক্সটা কোম্পানির সিনিয়র ম্যাডিকেল প্রমোশন মিজানুর বলেন,তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি সঠিক নয়। তবে তিনি ওই প্রতিনিধিকে হাতে প্রামাণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার কথা বলেন। তার বিরুদ্ধে কে কি অভিযোগ করছে সে কিংবা সাতক্ষীরা ৩ আসনের সংসদ সদস্য যদি কখনো দেখতে চান তাহলে সেটি দেখাতে হবে বলে জানান।

এসকল বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তৈয়মুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অন্য দশটি ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি যেমন সুযোগ সুবিধা পায় এ্যাস্ট্রা বায়ো- ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের সিনিয়র ম্যাডিকেল প্রমোশন অফিসার মিজানুর রহমান ততটুকু সুবিধা পায়। হাসপাতালে রুমে সে থাকেনা মোটর সাইকেল রাখার বিষয়ে তিনি অবগতনন। তাছাড়া কেউ তার কাছে অভিযোগ করেননি।

তবে বিষয়টি তিনি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)