আগামীকাল জাপান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পাঁচটি বড় উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ২৫০ কোটি ইউএস ডলার (প্রায় ২১ হাজার ৬০ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা) উন্নয়ন সহায়তা দেবে জাপান। বাংলাদেশের সঙ্গে ৪০তম সরকারি উন্নয়ন সহযোগিতার (অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স—ওডিএ) আওতায় জাপান এই অর্থ সহায়তা দেবে।

প্রকল্পগুলো হলো—মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প-১, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প (লাইন-১), সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ প্রকল্প-২, জ্বালানি সক্ষমতা ও সংরক্ষণ উৎসাহিতকরণ অর্থায়ন প্রকল্প (ফেজ-২) ও মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ারড পাওয়ার প্রজেক্ট-৫।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরে এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হবে।

জাপান সরকারের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল মঙ্গলবার তিন দিনের সফরে টোকিও যাচ্ছেন। ৪০তম ওডিএর আওতায় জাপান বাংলাদেশকে যে পরিমাণ অর্থ দিচ্ছে, তা আগের বছরের ওডিএর চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং তাঁর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেশটির সহযোগিতা চাইবেন।

টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওয়াকা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের মিডিয়া সংগঠন নিক্কি আয়োজিত ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন। ওই সম্মেলনে শেখ হাসিনা ছাড়াও ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদ, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, লাওসের প্রধানমন্ত্রী থংলুন সিসোওলিথ, মঙ্গোলিয়ার পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান গম্বোজাভ জানডানসাটা, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের মন্ত্রী চ তে ছাড়াও বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও নীতি-গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য নেতারা অংশ নেবেন।

প্রধানমন্ত্রী জাপান সফর শেষে আগামী শুক্রবার সৌদি আরবের মক্কায় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

সম্মেলনের ফাঁকে গাম্বিয়ার নেতৃত্বে রোহিঙ্গা বিষয়ক ওআইসির মন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এবার সম্মেলন থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ওআইসির পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিজে (আইসিজে) মামলা করার প্রক্রিয়াটি এগিয়ে যাবে বলে বাংলাদেশ আশা করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব সফর শেষে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি যাবেন। ঈদের পর আগামী ৮ জুন তিনি ঢাকায় ফিরবেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)