দেবহাটার হাদিপুরের কার্পেটিং রাস্তার বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন
দেবহাটার হাদিপুর মাদ্রাসা হতে পশ্চিমদিকে শ্মশান ঘাট পর্যন্ত নির্মাণাধীন ৯৭৫ মিটার কার্পেটিং রাস্তাটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেনের নির্দেশনায় রবিবার সকালে নির্মানাধীন রাস্তাটিতে তদন্তে যান কর্মকর্তারা। সাতক্ষীরা জেলা সহকারী প্রকৌশলী গোলাম রব্বানী, দেবহাটা উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী আকমল হোসেন, ল্যাব টেকনিশিয়ান আজহার আলী সহ অন্যান্যরা সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের তদন্ত এবং রাস্তার কার্পেটিংয়ের কিছু অংশ পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আলামত হিসেবে সংগ্রহ করেন। তদন্তকালে রাস্তাটির যেসকল স্থান সমুহে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে সেসকল স্থান গুলোতে কার্পেটিংয়ের সাথে কেরোসিনের অস্তিত্ব খুজে পান কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা নির্মাণাধীন রাস্তাটির এসব অংশে শত্রুতা মুলোকভাবে কেউ কেরোসিন ছড়িয়ে দিয়েছেন। রাস্তাটি নির্মানকারী ঠিকাদার আবুল কালাম এ প্রসঙ্গে বলেন, গত ১১ মে থেকে রাস্তাটি নির্মানের কাজ শুরু করেন তিনি। কাজ শুরুর পর হাদীপুরের বাসিন্দা ও সখিপুর হাসপাতালের কর্মচারী সুশান্ত সহ বেশ কয়েকজন তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। কিন্তু তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুশান্ত সহ অন্যান্যরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে রাস্তাটি নির্মাণের পরপরই তারাই ঠিকাদারকে বেকায়দায় ফেলতে কার্পেটিংয়ের কয়েকটি স্থানে কেরোসিন দিয়ে তাকে হয়রানীর চেষ্টা করছেন।
এব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম বলেন, তদন্তে রাস্তাটির যেসকল স্থানে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে সেসব স্থান গুলোতে কেরোসিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। কেরোসিনের মিশ্রণ ঘটানোর ফলে এমনটি হচ্ছে। তবে নষ্ট স্থানগুলোর কার্পেটিং ঠিক করে দেয়া হবে।