বড়দলে অন্যের ভিটেবাড়ির জমির আম গাছ জোরপূর্বক কর্তন
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদে অন্যের ভিটেবাড়ির জমির সীমানার ফলযুক্ত আমগাছ জোর পূর্বক কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে ফকরাবাদ গ্রামে স্কুল শিক্ষক বলাই কৃষ্ণ মন্ডলের ভিটেবাড়িতে এ ঘটনা ঘটান হয়।
ফকরাবাদ গ্রামের অনন্ত কুমার মন্ডলের পুত্র বড়দল কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক বলাই কৃষ্ণ মন্ডল দিং বংশ পরম্পরায় দীর্ঘ শতাধিক বছর পূর্ব হতে ফকরাবাদ মৌজায় এসএ খতিয়ান ২৭১, হাল ১০৬ নং খতিয়ানের জমিতে বসবাস করে আসছেন। সেখানে তার নিজের নামে বর্তমান মাঠ জরিপে ১০ শতক জমি রেকর্ড হয়েছে। শরীকের সকলের যাতয়াতের পথ হিসাবে ২ দশমিক ৮৬ শতক পথ রাখা আছে। বাকী জমি হারাহারি মতে ভাগ বাটোয়ারা করে শরীকের সবাই ভোগদখলে থাকা অবস্থায় বলাই কৃষ্ণদের এক শরীক শিব শংকর মন্ডল তার অংশের ১.১২ একর জমি সুব্রত মন্ডলের পিতা সূর্য্যকন্ত মন্ডলের নিকট বিক্রয় করেন।
ঐ জমি তারা স্থানীয় গার্লস স্কুলে দান করে দেন। যা স্কুলের নামে রেকর্ড হয়েছে। অপরদিকে বলাই কৃষ্ণ মন্ডলের রেকর্ডীয় ১০ শতক জমির মধ্যে তার দখলে রয়েছে ০৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। যে জমিতে তিনি পাকা বিল্ডিং ও সীমানা ঘেরাবেড়া দিয়ে বসবাস করছেন দীর্ঘকাল। কিন্তু সুব্রত মন্ডল কারণে অকারণে এবং শত্রুতা মূলকভাবে শরীকের সকলের ভাগাংশ থেকে নিয়ে দীর্ঘকালের পথের জমি নিজে অংশ হতে দেবে না, এমন অমূলক দাবী করে বলাইয়ের জমি কম থাকা স্বত্বেও তার সীমানার মধ্যে গিয়ে জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হলে, তৎকালীণ ওসি’র প্রতিনিধি, বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ২৪/১১/১৬ তাং গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে উভয় পক্ষ ও তাদের স্বাক্ষী এবং উপস্থিত ২২ জন ব্যক্তির স্বাক্ষর নিয়ে আপোষ মিমাংসা করে দেন। মীমাংসা পত্রে জনসাধারণের যে যাতয়াতের পথ আছে উক্ত পথ বাদে বাকী জমি হারাহারি মতে সমান অংশে ভাগ বন্টন করা হবে এবং মাপ জরিপের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ও দু’পক্ষের প্রতিনিধি ও থানা প্রতিনিধি সার্ভেয়ার নিয়ে জমি মাপজরিপ করে সুর্য্যকান্ত (অর্থাৎ সুব্রত) কে ১০ দশমিক ২৭ শতক, বলাই মন্ডলকে ০৮ দশমিক ৯২ শতক, গোপাল মন্ডল গংকে ২৪ দশমিক ৪৪ শতক এবং পথ বাবদ ০২ দশমিক ৮৬ শতক জমি দখল বুঝে দেন। প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সরেজমিন উপস্থিত হয়ে তাদের সীমানা ঠিক রেখে বলাই মন্ডলের সীমানা দিয়ে ঘেরাবেড়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করেন।
সেই থেকে ভালভাবে বসবাস চলে আসলেও সোমবার (২০ মে) সুব্রত মন্ডল, তার ভাই দেবব্রত, ভাইপো সুকৃতি এবং ভাড়াটিয়া ঘরজামাই শরিফুলসহ কয়েকজন গুন্ডাপান্ডা নিয়ে বলাইয়ের বাড়িতে অবৈধ প্রবেশ করে সীমানার পাশের একটি ফলযুক্ত আমগাছ কাটা শুরু করেন। গাছের ডাল কেটে সাবাড় করে মূল গাছ কাটতে গেলে, খবর পেয়ে স্কুল থেকে বলাই বাড়িতে ফিরে প্রতিবাদ করলে তারা লাঠিশোটা নিয়ে তাকে মারতে উদ্যত হয়। গুন্ডাসহ তারা তার জীবন নাশের হুমকী ধামকী দিয়ে এক পর্যায়ে কেটে পড়ে। শিক্ষক পরিবারটি চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন।