তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন ভোগান্তিতে শ্রমজীবীসহ সব শ্রেণির মানুষ

প্রচণ্ড তাপ মাত্রার কারণে বেশ কিছুদিন যাবত তাপদাহের কবলে পুড়ছে যশোর অঞ্চলের মানুষ। তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবন ওষ্ঠাগত। গত কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচণ্ড খরতাপে ঘর থেকে বের হতে হিমশীম খাচ্ছে শ্রমিক দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সব শ্রেণির মানুষ। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছাঁয়াতলে।

আর অতিরিক্ত গরমে শরীরকে একটু শীতল করতে বিভিন্ন শরবত ও ঠান্ডা পানীর খোজে তৃনাক্ত মানুষ ব্যাকুল হয়ে ছুটছে। এ তাপদাহ আরো কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র পর গ্রীষ্মের এই তাপদাহ মানুষের মধ্যে তৈরি করেছে ব্যাপক অস্বস্তি। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষসহ সকল প্রাণী! গরম আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের দম যাই যাই অবস্থা। একটু শীতল পরশ ও ঠাণ্ডা পানির জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ।

তবে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন তীব্র ভোগান্তিতে। তীব্র গরম উপেক্ষা করেই তাদের যেতে হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, যশোরে গতকাল বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২৮ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পার্থক্য ছিলো ১২দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর বাতাসের আর্দতা কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ শতাংশে। এর আগেরদিন মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ছিলো ১২ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অর্থাৎ গরম বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রার পার্থক্যও কমে আসছে। দিনে রাতে সবসময় গরমের তীব্রতা বজায় থাকছে। অথচ ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে যশোরে তাপমাত্রা কমে গিয়ে ২৪ ডিগ্রীর কোঠায় দাঁড়িয়েছিলো। বৃষ্টিপাতের কারণেও তাপমাত্রা কমে গিয়ে আবহাওয়া ছিলো শীতল। কিন্তু ফণীর প্রভাব কাটার পরেই আবার তাপদাহের কবলে পড়লো যশোরবাসী।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। যশোর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক দেবদুলাল কুমার মৈত্র সাংবাদিকদের জানান, যশোরের এই তাপদাহ আরো কয়েকদিন থাকবে। বর্তমানে যশোরের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাত ছাড়া এই তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও উল্লেখ করেন এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: অশোক কুমার আমাদেরকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে জনজীবন হাঁসফাঁস করছে। গরমের তীব্রতায় অতিষ্ঠ হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে শিশু সহ সব বয়সী মানুষ। তাই স্যালাইনের সাথে প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং যতটুকু সম্ভব ঠাণ্ডা স্থানে তাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)