কলারোয়ায় বৈদ্যুতিক আগুনে মিষ্টান্ন ভাণ্ডারসহ ৩ দোকান ঘরের মালামাল ভূস্মিভূত
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খোরদো বাজারে বৈদ্যুতিক আগুনে একটি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারসহ ৩টি ঘরের মালামাল ভূস্মিভূত হয়েছে। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক সক-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে সত্যজিৎ বিশ্বাসের কাকুলী হোটেল এন্ড সুইটমিট ও তোরাব হোসেনের রাসেল ফার্নিচারের ২টি দোকান ঘরের সব কিছু পুড়ে যায়। আগুনে রক্ষা পায়নি দোকান ঘরের আসবাব পত্র ও মালামাল। আগুনে কাকুলী হোটেল এন্ড সুইটমিট এর মিষ্টি মিঠাই,পাকঘর ও ফার্নিচারের সকল মালামালসহ দোকান ঘরে থাকা যা কিছুই ছিলো তা কেবল ছাই ছাই হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সত্যজিৎ বিশ্বাস ও তোরাব হোসেন জানান, সময় মত দমকল বাহিনীর লোকজন না আসায় কিছুই রক্ষা পায়নি।
খোরদো বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ডা: মিজানুর রহমান জানান-খবর পেয়ে তারা ঘটনা স্থানে যান।
দেয়াড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মফে জানান-তিনি লোকমুখে শুনে ওই রাতেই ঘটনা স্থানে আসেন এবং দু:খ প্রকাশ করেন। ওই সময় খোরদো পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল কালামও ঘটনা স্থানে আসেন এবং আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করেন।
এদিকে কাকুলী হোটেল এন্ড সুইটমিট এর স্বত্বাধিকারী সত্যজিৎ বিশ্বাস জানান-তিনি স্থানীয় ব্র্যাক, আশা ও গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে মিষ্টির ব্যবসা শুরু করেন। মিষ্টি ও পাক ঘরের মালামাল পুড়ে যাওয়ায় তিনি দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সমিতির টাকা কিভাবে দেবেন তা নিয়ে তিনি সংশয় রয়েছেন।
অন্যদিকে রাসেল ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারী তোরাব হোসেন জানান-গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ফার্নিচারের ব্যবসায় শুরু করেছেন। তিনি সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কেহ হয়তো তার দোকানে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে বলে তিনি ধারনা করছেন।
এ বিষয়ে তিনি শুক্রবার সকালে কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী নং-১৩২ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ধারনা আগুনে পুড়ে ৩টি দোকানে প্রায় ১৩/১৪ লক্ষ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।