দেবহাটায় জোর পূর্বক মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা : সন্ত্রাসী হামলায় আহত-১

দেবহাটা থানা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কামরুল ইসলাম লেলিন নামের এক ব্যাক্তির মৎস্য ঘের জোর পূর্বক দখলে নিতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় লিটন হোসেন (৪২) নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে । আহত লিটন হোসেন দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত শামছুর সরদারের ছেলে এবং মৎস্য ঘের মালিক কামরুল ইসলাম লেলিনের ছোট ভাই। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে দেবহাটার কামকাটিয়া এলাকায় কামরুল ইসলাম লেলিনের মৎস্য ঘেরটি জোর পূর্বক দখলে নিতে কামকাটিয়া গ্রামের ময়নুদ্দীন ঢালীর ৩ ছেলে বাবুরালী ঢালী,খালেক ঢালী,হক ঢালী সহ স্থানীয় নজরুলের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে তাদেরকে বাঁধা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের মারপিটে মারাত্মক জখম হন লিটন হোসেন। বর্তমানে তিনি সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মৎস্য ঘের মালিক কামরুল ইসলাম লেলিন বাদী হয়ে হামলার ঘটনার মুল হোতা কামকাটিয়ার ময়নুদ্দীন ঢালীর ছেলে বাবুরালী ঢালী,খালেক ঢালী,হক ঢালী ও স্থানীয় নজরুল সহ ১৫/২০ জন সন্ত্রাসীকে অজ্ঞাত আসামী করে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী মৎস্য ঘের মালিক কামরুল ইসলাম লেলিন বলেন,মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ১০ থেকে কামকাটিয়া মৌজায় তার মালিকানাধীন ১৫ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরটি সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে জবরদখলে নিতে উল্লিখিত আসামীদের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তার ঘেরের বাসাটি ভাঙচুর ও বেঁড়িবাধ কেটে দেয়। খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহার নির্দেশে উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান সহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চলমান জবরদখল বন্ধ করে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে দখলদার সন্ত্রাসী বাহিনীকে সন্ধ্যায় থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারো মৎস্য ঘেরটি জবরদখলে নিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে তার ভাই লিটন হোসেনকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য দায়েরকৃত অভিযোগটি তদন্ত পরবর্তী এজাহার হিসেবে নথিভুক্তসহ জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)