লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও- একজন সত্যিকারের নায়ক!

লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও অভিনীত এমন কয়েকটি চলচ্চিত্র রয়েছে যেগুলো যুগের পর যুগ ধরে বিখ্যাত হয়ে আছে। ডি ক্যাপ্রিওর উল্লেখযোগ্য এমন কিছু বিখ্যাত সিনেমা হলো টাইটানিক, দ্য এভিয়েটর, দ্য ডিপার্টেড, ব্লাড ডায়মণ্ড এবং দ্য ওল্ফ অব ওয়াল স্ট্রিট। অসাধারণ অভিনয় নৈপূণ্যের শীর্ষধারী এই অভিনেতা আজ বিশ্বের একজন প্রথম সারির অভিনয় শিল্পী যিনি তার অসাধারণ অভিনয়ে প্রীত করে তুলে দর্শকদের। চলুন জেনে নেই এই অভিনয়শিল্পীর কিছু অজানা তথ্য, যেগুলো অস্কারজয়ী এই অভিনেতার রূপালী পর্দার আড়ালে চিনতেও খানিকটা সহায়ক হবে-

১. লসএঞ্জেলসে ১৯৭৪সালের১১ইনভেম্বরজন্মগ্রহণকরেনঅস্কারজয়ীএইঅভিনেতা।যারপুরোনামলিওনার্দোউইলেমডিক্যাপ্রিও৷তারমাএইনামটিরাখেনলিওনার্দোদিভিঞ্চিরনামঅনুসারেকারণযখনপ্রথমবারেরমতোক্যাপ্রিওরমাতাকেঅনুভবকরেছিলেনঠিকতখনতিনিলিওনার্দোদ্যভিঞ্চিরএকঅভূতপূর্বপেইন্টিংএরসামনেদাড়িয়েছিলেন।

২. লিওনার্দোডিক্যাপ্রিওরপ্রাথমিকপড়াশুনাশুরুকরেএকআর্টস্কুলে।যেখানেসেএকটিগ্রীষ্মকালীনকোর্সেইউসিএলএভরতিহয়।

৩. লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও যখন অতি অল্প বয়স পাড় করছে ঠিক তখন ই ক্যাপ্রিওর বাবা মা’র ছাড়াছাড়ি হয়ে পড়ে। ক্যাপ্রিওর বয়স সম্ভবত তখন ছিলো দুই থেকে আড়াই বছর বয়স। সেই ছোটবেলা থেকে প্রায় বেশিরভাগ সময় জুড়েই লিওনার্দো বেড়ে উঠে তার জার্মান নাগরিক মায়ের কাছে। ক্যাপ্রিওর যখন ১০ বছর বয়স ঠিক তখন তার ভারিক্কি নামটি পরিবর্তন করে একটি হালকা ফ্রেন্ডলি মার্কিন নাম দেয়ার পরিকল্পনা ছিলো। নামটি সম্ভবত ছিলো লেনি উইলিয়ামস। কিন্তু কোনো এক কারণবশত ক্যাপ্রিও নামটি প্রত্যাখ্যান করে। কে জানে হয়তো তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় জানান দিচ্ছিলো এই নামটিই তার খ্যাতি কুড়িয়ে আনবে!

৪. ক্যাপ্রিও প্রথমবারের মতো টেলিভিশনের পর্দায় আসেন ১৯৯০ সালে প্যারেনহুড সিরিজের মাধ্যমে। যার মূল চরিত্রটি করতো জোকিন ফিনিক্স। তবে এর মূল সিনেমাতে ফিনিক্সের গ্র্যান্ড ফাদারের চরিত্রটি করেছিলো জেসন রবার্টস যার সঙ্গে ডি ক্যাপ্রিওর চেহারার এক অদ্ভুত মিল!

৫. ১৯৯৪সালেরদিকেক্যাপ্রিওপ্রথমবারেরমতোএকাডেমিকঅ্যাওয়ার্ডেপার্শ্বঅভিনেতাহিসেবেনমিনেশনপান ‘হোয়াটসইটিংগিলবার্টগ্রেপ’সিনেমারজন্যে।যেটিইতিহাসেরসবচেয়েসপ্তমকনিষ্ঠতমঅভিনেতা।ডিক্যাপ্রিওরবয়সতখনছিলোমাত্র১৯বছর।

৬. বিখ্যাত সিনেমা টাইটানিকের চুক্তির আগে ডি ক্যাপ্রিও অনেকটা দ্বিধান্বিত ছিলেন কারণ তিনি নাকি কখনো এ ধরণের এমন কোনো মুভিতে নিজেকে দেখতে চাইতেন না। অথচ কে জানতো এই মুভিটিই ক্যাপ্রিওর জীবন পাল্টে দিবে।

৭. লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর বাবা জর্জ ছিলেন অর্ধেক জার্মান অর্ধেক ইটালিয়ান। অন্যদিকে ক্যাপ্রিওর মা ছিলেন জার্মান নাগরিক৷ ক্যাপ্রিওর বাবা ছিলেন ছিলেন কমিক বুক ডিলার!

৮. সারাবিশ্বেযখনএকবিস্ময়করঅভিনেতারনামলিওনার্দোডিক্যাপ্রিওসেখানেএরপেছনেশিক্ষাগুরুরনামআপনাতেইচলেআসে।হলিউডবিখ্যাতগানকোচথেলরিডএরকাছেপ্রশিক্ষিতহয়েছেবিখ্যাতএইঅভিনেতা।এছাড়াওব্র‍্যাডপিটসহভালকিমার, এডওয়ার্ডনর্টন, রাসেলক্রোওবেনফোস্টারসহআরোবিখ্যাতঅভিনেতাদেরকাছথেকেপ্রশিক্ষণনিয়েছেনঅস্কারজয়ীএইঅভিনেতা।

৯. ১৯৯৮সালেরপিপলম্যাগাজিনেবিশ্বেরসুন্দরতম৫০জনমানুষেরতালিকারএকজনছিলেনবিখ্যাতলিওনার্দোডিক্যাপ্রিও।

১০. আমেরিকানসাইকোসিনেমাটিরজন্যলিওনার্দোডিক্যাপ্রিওকেমূলচরিত্রটিরজন্য৪০মিলিয়নডলারপ্রস্তাবকরাহয়।কিন্তুনানাব্যস্ততারকারণেসময়েরঅভাবেসিনেমাটিকরতেপারেননিএইঅভিনেতা।পরবর্তীতেক্রিশ্চিয়ানবেলসিনেমাটিসম্পন্নকরেন।

১১. অত্যন্তজনপ্রিয়সিনেমাস্পাইডারম্যানএরমূলচরিত্রপিটারপার্কারকরারজন্যপরিচালকেরসর্বপ্রথমপছন্দছিলোলিওনার্দোডিক্যাপ্রিও।কিন্তুনানাকারণেক্যাপ্রিওসিনেমাটিনাকরারপরএইসিনেমাটিতেসুযোগকরেদেয়ছেলেবেলারবন্ধুটবিমেগুইরকে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)