দশ বছরে খালেদার আয় বেড়েছে ছয় গুণ

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বছরে আয় বেড়েছে এক কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা বিগত দশ বছরে প্রায় ছয় গুণ।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে দেখানো হয়েছে- ৮ শতক জমি এবং গুলশানে একটি বাড়ির ৩/১ অংশের মালিক তিনি। যার মূল্য ১০০ টাকা।

খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় যে হিসাব দিয়েছিলেন, সেখানে তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল প্রায় ২৬ লাখ টাকা। দশ বছরের মাথায় তার আয় বেড়ে দেড় কোটি টাকা হয়েছে। সেই হিসেবে তার আয় প্রায় ছয় গুণ বেড়েছে। তবে তিনি এক কোটি ৫৮ লাখ টাকা তিনি দেনা রয়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী ‘স্বশিক্ষিত’ খালেদা জিয়া তার বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করেছেন গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়িটিকে। তবে পাশে বন্ধনীর ভেতরে লিখেছেন- ‘বর্তমানে কেন্দ্রীয় কারাগার, নাজিমুদ্দিন রোড, ঢাকা’ ।

দুটি দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সাজায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ হাই কোর্টের একটি রায়ে এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বগুড়া-৬ ও ৭ আসনের জন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচনী হলফনামায় খালেদা জিয়া উল্লেখ করেছেন, তার নামে মোট ৩৪টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে দুটিতে রায়ের পর তিনি আপিল করেছেন। বিশেষ জজ আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে একটি করে মামলা ‘পেন্ডিং’ রয়েছে। সাতটি বিচারাধীন, বাকিগুলো স্থগিত রয়েছে।

বছরে বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে ৬৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪ টাকা এবং শেয়ার, ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ ৮৫ লাখ ৯ হাজার ৮১৩ টাকাসহ প্রায় এক কোটি ৫২ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৫০ হাজার ৩০০ টাকা, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৪ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৭ টাকা, পোস্টাল সেভিংস বা সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী আমানত রয়েছে ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬২ টাকা। আর খালেদা জিয়ার নামে ৬৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের ৩টি টয়োটা জিপ, জহরতসহ ৫০ তোলা স্বর্ণ, ৫ লাখ টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক পণ্য ও ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে।

দশ বছর আগে খালেদা জিয়া ১২ হাজার ৩০০ টাকায় কেনা আট শতাংশ অকৃষি জমি এবং যৌথ মালিকানায় ১০০ টাকায় পাওয়া গুলশানের একটি বাড়ির কথা লিখেছিলেন স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে। এবারও হুবহু একই হিসাব দিয়েছেন তিনি। শুধু বাড়তি একটি লাইনে লিখেছেন, ক্যান্টনমেন্টে ৫ টাকা মূল্যের একটি বাড়ি থাকলেও বর্তমানে তা তার ‘মালিকানায় নেই’।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)