১০ দিনের জন্য মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী
ভোটের এক সপ্তাহ আগে মাঠে নামবে সশস্ত্র বাহিনী। নির্বাচনের দুইদিন পর পর্যন্ত মাঠে থাকবে তারা। অর্থাৎ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোট ১০ দিন মাঠে থাকবেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত এক সভায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ভোটের আগে ও পরে ১০ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে মাঠে নামানোর বিষয়ে ইসির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তা চূড়ান্ত করা সামনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পর। সেই বৈঠকেই নির্বাচনে কত সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের প্রয়োজন হবে, এবং কতদিনের জন্য মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে সামম্প্রতি সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা জানিয়েছিলেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর ছোট ছোট টিম মাঠে থাকবে। তিনি বলেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম পুলিশের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতিটি জেলায় থাকবে সশস্ত্র বাহিনীর এসব ছোট ছোট টিম। এসব টিমকে নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে পুলিশকে।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর সাভার সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছিলেন, আগামী মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আমাদের সেনাবাহিনীকে সম্ভবত নিয়োগ করা হবে। আমরা অতীতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। আগামী নির্বাচনেও পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবো। যাতে দেশে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
যে লক্ষ্যে আমাদের নিয়োজিত করা হবে আমরা সেই দায়িত্ব পালন করবো এবং সেনাপ্রধান হিসেবে আপনাদের প্রতি আমার সে নির্দেশ থাকবে।
গত ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা তফসিল ঘোষণা করেন। তখন ২৩ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ ধরে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল, ২২ নভেম্বর বাছাই এবং ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অনুরোধে নির্বাচন পেছায় নির্বাচন কমিশন। পরিবর্তিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রেখে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর, বাছাই ২ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে ইসি।