সিইসিকে আইন শেখালেন ড. কামাল

আসন্ন নির্বাচন পেছানো প্রসঙ্গে আজ বুধবার সিইসি কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন। নির্বাচন তিন সপ্তাহ পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

বৈঠকের এক পর্যায়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’ ড.কামাল হোসেন তখন সিইসি’র কাছে জানতে চান, সংবিধানে কি রকম বাধ্যবাধকতা রয়েছে?

জবাবে সিইসি বলেন, ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ড. কামাল বলেন, ‘সংবিধান আমি প্রণয়ন করেছি। সংবিধান আমার রচনা। আপনি আমাকে সংবিধান শেখান? সংবিধানের মধ্যেই আছে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। কাজেই, ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন করলেও কোনো বাঁধা নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনের পরেও কিছু কাজ থাকে। নির্বাচনের সময় যেসব আসন স্থগিত হয়, সেই আসনগুলোতে নির্বাচন করতে হয়। অনেকে একাধিক আসনের প্রার্থী হলে, সেই আসনগুলোতে উপ-নির্বাচন করতে হয়। এ ধরনের নানা রকম সমস্যা থাকে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, শুধু জাতীয় নির্বাচনই ২৭ জানুয়ারির মধ্যে করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর কোন আসন স্থগিত হলে বা ভোট পুন:গ্রহণের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পরবে না।

তখন একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এটি বোধ হয় সঠিক নয়। কারণ নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যেই আমাদেরকে নির্বাচনের সব ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।’

ড. কামাল বলেন, ‘আমি আপনাদের ক্লাস নিচ্ছি। নির্ধারিত ৯০ দিন শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়। উপ-নির্বাচন বা পুন: নির্বাচন ৯০ দিনের পরে করলেও কোনো সমস্যা নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি স্বাধীন দেশে সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত ১৯৭৩ এর নির্বাচন ও ১৯৯১ নির্বাচনের উদাহরণ দেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)