তাইজুলের হ্যাটট্রিক পাঁচ উইকেটে ফলোঅনে জিম্বাবুয়ে

চাকাবাকে লেগ শটে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ বানিয়ে টানা ৩ ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করলেন তাইজুল ইসলাম। ১১ তম ব্যাটসম্যান চাতারা ইনজুরির কারণে ক্রিজে নামতে না পাড়ায় ৩০৪ রানেই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ২১৮ রানে পিছিয়ে আছে এবং ফলোঅনে পড়েছে। দেখার বিষয় আগামীকাল তাঁরা আবার ব্যাটিংয়ে নামে কিংবা বাংলাদেশ তাঁদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে। তাইজুলের আগে পর পর তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন এনামুল হক জুনিয়র ও সাকিব আল হাসান।

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করে ১৮ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান সংগ্রহ করে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। দিনের শেষ ভাগে এসে তাইজুলের বলে স্লিপে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫২২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। টাইগারদের হয়ে মুশফিকুর রহীম অপরাজিত ২১৯ রানের ইনিংস খেলেন, এছাড়াও মুমিনুল হক ১৬১ রান করেন। জিম্বাবুয়ের কাইল জারভিস ৫ উইকেট শিকার করেন।

তৃতীয় দিনের ১১ তম ওভারের চতুর্থ বলে তাইজুল ইসলামের বলে মিরাজকে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জিম্বাবুয়ের নাইটওয়াচম্যান হিসেবে গতকাল ক্রিজে আসা ত্রিপানো। সকালে শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাট করেন ত্রিপানো। ৪৬ বল মোকাবেলা করে ৮ রানে ফেরেন তিনি।

রিভিউ নিয়ে দিনের দ্বিতীয় উইকেট পায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান ব্রায়ান চারি। প্রথমে থাই প্যাডে বল লেগে পরবর্তীতে হাতে লেগে বল জমা পড়ে লেগ শটে দাঁড়িয়ে থাকা মুমিনুলের হাতে। দুর্দান্ত খেলতে থাকা চারি ১২৮ বল মোকাবেলায় ৫৩ রান করেন।

তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ২৬ ওভার ব্যাটিং করে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান যোগ জিম্বাবুয়ে। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত তাঁদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১০০ রান।

লাঞ্চের পর সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে শন উইলিয়ামসকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে পাঠান তাইজুল ইসলাম। ২৮ বল মোকাবেলা করে ১১ রান করেন শন উইলিয়ামস।

জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করে নিজের চতুর্থ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ১২ বল মোকাবেলা করে রানের খাতাই খুলতে পারেন নি রাজা। সিকান্দার রাজার আউটে  ১৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা।

তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ২৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান যোগ করে জিম্বাবুয়ে। চা বিরতি পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ১৯৫ রান।

পিটার মুর ও ব্রেন্ডন টেইলরের ১৩৯ রানের জুটি ভেঙে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটটি নিয়েছেন আরিফুল হক। ১১৪ বলে ৮৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে আরিফুলের প্রথম ওভারেই লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন জিম্বাবুয়ের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর। পাঁচ সেঞ্চুরির মধ্যে চারটিই এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। টাইগারদেড় বিপক্ষে আগের তিন সেঞ্চুরিই এসেছে হারারেতে।

পাখির মতো উড়ে সেঞ্চুরিয়ান ব্রেন্ডন টেইলরের ক্যাচ নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ১৯৪ বলে ১১০ রানের ইনিংস খেলে মিরাজের বলে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। এরপরের বলেই উইকেটে আসা মাভুতাকে ফিরিয়ে শেষ বিকেলে বাংলাদেশকে আবারও ম্যাচে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

স্কোর:

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস- ৫২২/৭ (১৬০ ওভার)

জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস- ৩০৪/৯ (১০৫.৩ ওভার)

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)