কলারোয়ার কাকডাঙ্গা এলাকায় বিছলী গাদার ভেতরে রাখা ২৫ কেজি গাঁজা রহস্য!

বিছলী গাদার ভেতরে পাওয়া ২৫ কেজি গাঁজা প্রশাসনের অগোচরে রাতের আঁধারে ভাগবাটোয়ারা হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভাগবাটোয়ারা করে গাঁজা উধাও করেছেন কতিপয় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী তারা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকলেও ২০ হাজার টাকা খেসারত দিলেন কলারোয়ার কাকডাঙ্গা এলাকার মহিলা মেম্বরের স্বামী আব্দুস সালাম। তার অপরাধ ছিল গাঁজার বিষয়টি তিনি চায়ের দোকানে গল্প করেছেন এমনই জানালেন স্থানীয়রা। ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকে বলেন, এলাকার চিহৃত মাদক চোরাকারবারি কলারোয়ার কাকডাঙ্গা গ্রামের রশিদ কাটোয়ারের ছেলে তরিকুল ইসলাম, মৃত রহিমের ছেলে আলী হোসেন, মৃত কওছারের ছেলে মিন্টু ও রেজাউল ইসলামের ছেলে আবু রাতের আঁধারে কাকডাঙ্গা গ্রামের মৃত বড় খোকার ছেলে আবু তাহেরের চাচার বিছলী গাদার ভেতরে ২৫ কেজি গাঁজা রাখে। গত ২৪ অক্টোবর তাহেরের বিছলী আনতে যেয়ে বিছলী গাদার ভেতরে একটি বস্তা পায়। এরপর তিনি ওই বস্তা খুলে টেপ দিয়ে মোড়ানো ২৫টি গাঁজার ব্যান্ডেল দেখতে পান। এরপর তিনি ওই বস্তাটা তাহেরের কাছে নিয়ে প্রশ্ন করেন এগুলো কার? উত্তরে তাহের বলে, ‘এ ব্যাপারে কারো সাথে কিছু বলার দরকার নেই ওই গাঁজার বস্তা গুলি আমার। সে সময় তাহেরের চাচী ওই গাঁজার বস্তাটি তাহেরের কাছে রেখে নিজের কাজে চলে যান। পরবর্তীতে তাহের ওই ২৫ কেজি গাঁজা হতে ৩ কেজি গাঁজা বের করে নেয়। এরপর রাতে আলী হোসেন ও মিন্টু ওই বস্তা নিতে এসে দেখে বিছলী গাঁদার ভেতরে বস্তা নেই।

তখন তারা গোপনে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বস্তাটি তাহেরের কাছে আছে। তখন তারা তাহেরের কাছে যেয়ে বলে, তোর চাচী যে বস্তাটা তোকে দেছে বস্তাটা দে।’ তখন তাহের বলে, ‘আমার কাছে কেউ কোন বস্তা দেয়নি। এরপর তরিকুলের হুমকিতে তাহের গাঁজার বস্তা গুলি তাকে দিয়ে দেয়। ২৫ অক্টোবর সন্ধায় স্থানীয় মহিলা মেম্বরের স্বামী আব্দুস সালাম বিছলি গাদার ভেতরে বস্তাভর্তি গাঁজা পাওয়ার বিষয়টি চায়ের দোকানে গল্প করাই বিষয়টি সমগ্র এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তাহের যে ৩ কেজি গাঁজা বের করে নেয় ওই তিন কেজি গাঁজা সে তার বেয়াই খায়েরের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়। এরপর গত ২৯ অক্টোবর সাতক্ষীরা সদরের হাওয়ালখালী এলাকার প্রশাসনের সোর্স সেলিম বিষয়টি জানতে পেরে কিছু লোক নিয়ে ছালামের বাড়িতে যায় এবং প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে সালামকে তুলে নিয়ে আসে। পরে কারকার মাল তা শুনে ২০ হাজার টাকা নিয়ে সালামকে ছেড়ে দেয়। এরপর সেলিম মামলার ভয় দেখিয়ে আবুর কাছ থেকেও ১০ হাজার টাকা নেয়। পরে বিষয়টি সর্বমহলে জানাজানি হলে তরিকুল, আলী হোসেন, মিন্টু ও তাহের বাড়ি হতে পালিয়ে গোপনে অবৈধপথে ভারতে চলে যায়।

তরিকুল, আলী হোসেন, মিন্টু ও তাহের দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকের রমরমা ব্যবসা করে আসছে। তারা ভারত হতে মাদক এনে তরিকুলের ভাই আরিফ এর সাথে সিন্ডিকেট করে আরিফের ট্রাকের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করে ওই গাঁজার সাথে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তবে এ ব্যাপারে কিছুই জানা নেয় জানিয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি ভারতে ছিলাম তাই এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। আর আমার বিরুদ্ধে যেগুলো বলা হচ্ছে সেগুলো সব মিথ্যা।

এবিষয়ে জানার জন্য সেলিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি জানার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যের স্বামী আব্দুস সালামের কাছে কয়েকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)