নারী সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন’ বলে ব্যারিস্টার মইনুল এখন কারাগারে

লাইভ অনুষ্ঠানে নারী সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন বলেছিলেন তিনি৷ তারপর পাঁচটি মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়েছেন রংপুরে করা ষষ্ঠ মামলায়৷ সুবাদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল এখন কারাগারে৷

টক শো-তে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে রংপুরে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেছেন একজন নারী মানবাধিকারকর্মী৷

এর আগেও তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা হয়েছে৷ সবগুলোতেই জামিনে ছিলেন তিনি৷ সোমবারের ওই মানহানির মামলায় রাতেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ৷ এই মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে (ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত৷ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) কায়সারুল ইসলামের আদালতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারক৷

রংপুরে মামলাটি করেছেন মানবাধিকারকর্মী মোছাম্মৎ মিলি মায়া৷ যে ঘটনায় তিনি সরাসরি জড়িত নন, সেই ঘটনায় তাঁর মামলায় উদ্যোগী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘একজন নারীর প্রতি যে অসম্মান করা হয়েছে, এ কারণেই একজন নারী হয়ে আমি এই মামলা করেছি৷ মইনুল হোসেন যে অসম্মান করেছেন মাসুদা ভাট্টিকে, সেটা তার একার অপমান না৷ সেটা পুরো নারী সমাজের অপমান৷” কয়েকদিন আগের ঘটনা এত পরে এসে কেন মামলা করলেন? প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আপনি কি উৎসাহিত হয়ে মামলাটি করেছেন? এসব প্রশ্নের জবাবে মিলি মায়া বলেন, ‘‘এখানে কারো বক্তব্যে আমি উৎসাহিত হইনি৷ নিজের সিদ্ধান্তে মামলা করেছি৷ মামলার জন্য প্রস্তুতি নিতে দেরি হয়েছে৷ আমি মনে করি, তার এমন শাস্তি হওয়া উচিৎ যাতে আর কেউ কোনো নারীকে অসম্মান করে এভাবে কোনো বক্তব্য দিতে না পারে৷”

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)