অশ্লীলতা আর জুয়ার কারণে বাতিল হচ্ছে কলারোয়ার জাহাজমারি পার্কের আনন্দ মেলা

চরম অশ্লীলতা আর রমরমা জুয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হচ্ছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের আলোচিত-সমালোচিত জাহাজমারি এবি পার্কের আনন্দ মেলা। নানান অনৈতিকতার অভিযোগে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয়ে বুধবার (৩অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ওই মেলা বন্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ৩০সেপ্টেম্বর রাত থেকে শুরু হওয়া ওই উলঙ্গ-জুয়ার আসর গত ৩দিন ধরে চলে আসছিলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে- ২০দিনের জন্য যাত্রার অনুমোদন নিয়ে সমালোচিত জাহাজমারি এবি পার্কের আনন্দ মেলায় চলছিলো উলঙ্গ-আধা উলঙ্গ ড্যান্স, যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্যে নারীদের শরীর প্রদর্শন। এখানেই শেষ নয়। সেখানে ওয়ানটেন, চরকা খেলা, তিন কার্ড, লাটিমের জুয়া, ঘুরনি খেলার জুয়াসহ লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন নামের জুয়ায় ভাসছিলো সারা রাত। মাঠের মধ্যে নির্জন ওই পার্কের আগান-বাগান ও ঝোপ-ঝাড়ের মাঝে অনৈতিক সম্পর্কের পুরোনো ইতিহাস আবারো পুনরাবৃত্তি হচ্ছিলো গত ৩ রাতে। সবমিলিয়ে চরম অশ্লীলতা, অনৈতিকতা আর রমরমা জুয়ার আসরে গা ভাসাচ্ছিলো কলারোয়া, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, অভয়নগর, পাইকগাছাসহ বিভিন্ন এলাকার জুয়ারিরা। আর এতে বিপথমুখি ও বিবৃতের মধ্যে পড়ছিলো স্থানীয়রা। দুর্দান্ত ধামকি আর উচ্চ মহলকে ম্যানেজ করার গুজবও ছিলো আয়োজকদের মুখে। ফলে সাধারণ মানুষের মনের কথা মুখে আসলেও আবার মনেই ফিরে যাচ্ছিলো। সাধারণ মানুষের মাঝে বর্তমান সরকার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছিলো। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে তাদের মন্তব্য করতেও দেখা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযোগ জানতে পেরে বুধবার বেলা ২টার দিকে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এর পরপরই সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হয় অনুষ্ঠান বাতিলের চিঠি প্রেরণ করা হচ্ছে। এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি বলেন-বিষয়টি জানতে পেরে সকলের মতো আমিও বিব্রত। আমি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন- ‘অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সব বাতিল করা হচ্ছে। কিছুক্ষনের মধ্যে চিঠি যাবে। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আলমগীর হুসাইন বলেন- ‘আমি এখন অফিসের বাইরে আছি। চিঠি পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)