ডিজিটাল বিশ্ব নিরাপদ রাখতে ভূমিকা রাখুন

ডিজিটাল বিশ্ব নিরাপদে রাখতে কার্যকর ভূমিকা নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার ইউএনজিএ-তে জাতিসংঘ নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক দফতর (ইউএনওডিএ) আয়োজিত সাইবার নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের পার্শ্ব অনুষ্ঠানে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ বাংলাদেশের মতো ছোট দেশগুলোকে সাইবার অপরাধের হাত থেকে বাঁচাতে জাতিসংঘকে এগিয়ে আসতে বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বিশ্বকে অধিকতর নিরাপদ করে তুলতে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া তথ্য নিরাপত্তা বিধানে নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম অব্যাহত থাকা চাই’। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমের অপব্যবহারে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে সজীব ওয়াজেদ বাংলাদেশের মতো ছোট দেশগুলোর সমস্যা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা সমস্যা চিহ্নিত করতে পারলেও পুরোপুরি সমাধান করতে পারি না। আমরা অনেক সময় হ্যাকিং আটকাতে পেরেছি, কিন্তু হ্যাকারকে ধরতে পারি নাই’।

বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের কথা তুলে ধরে জয় বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ঘটনার সাথে অ্যামেরিকার সুইফট এবং ফিলিপাইন জড়িত ছিল। তবে বাংলাদেশ ছোট দেশ বলে কোনো সমাধান হয়নি। এই রকম ঘটনায় জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা দরকার’।

শেখ হাসিনার পর বক্তব্য দিতে গিয়ে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান বলেন, তার দেশের ১৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য তথ্য চুরি হয়েছে, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীও রয়েছেন।

বালাকৃষ্ণান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সবার সক্ষমতা বাড়াতে হবে এব‍ং আঞ্চলিক সংস্থাগুলোকে আরো সক্রিয় হতে হবে।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক প্রতিনিধি ইজুমি নাকামিতসু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেড়শ দেশের স্বাস্থ্য সেবায় সাইবার অ্যাটাক হয়েছে। কারো একার পক্ষে এর প্রতিরোধ সম্ভব না। সবাইকে এজন্য এক সাথে কাজ করতে হবে’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন বলেন, সারা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো নিয়মিতভাবে সাইবার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অপরাধমূলক সাইবার কর্মকাণ্ডের উৎস শনাক্ত করতে পারার প্রযুক্তি ও তথ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবেশাধিকারের উপর জোর দিতে হবে।

বাংলাদেশ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সাইবার নিরাপত্তা ইকো-সিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও বাংলাদেশে একটি সাইবার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম থাকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

প্লেনারি সেশনে সজীব ওয়াজেদ ছাড়াও ইউএনওআইসিটির পরিচালক সালেম আভান, মাইক্রোসফটের সাইবার নিরাপত্তা কৌশল ও নীতি বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক অ্যাঙ্গেলা ম্যাকে এবং আইসিটিফরপিসের এনেকেন টিক বক্তব্য রাখেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)