ঐক্যের চাপে বিএনপি, মঈনুলকে নিয়ে প্রশ্ন
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে প্রথমবারের মতো দৃশ্যমান বিএনপি। সরকারবিরোধী বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের লক্ষ্যে সাম্প্রতি ড. কামাল হেসেনের নেতৃত্বে ঢাকায় প্রথম প্রকাশ্যে সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এছাড়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারাও এতে অংশ নেন।
ঐক্যের সমাবেশে বিএনপি নেতা মওদুদের হাত ধরে ছবি তোলেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। মইনুলের হাত ধরেন ড.কামাল হোসেন আর কামাল হোসেনের হাত উঁচিয়ে ধরে ছবি তোলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ দিকে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনর অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। দেশকে বিরাজনীতিকীকরণ ও মাইনাস-টু ফর্মুলা তথা ওয়ান ইলেভেন অন্যতম কুশীলব হিসেবে পরিচিত ব্যারিস্টার মঈনুলকে ওই সমাবেশে দেখতে পেয়ে অনেকেই বিষ্মিত হয়েছেন।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর দুই বছর দেশ চালানো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনায় মুখর বিএনপি। ছদ্ম সেনাশাসন হিসেবে বিবেচিত এই আমলেই গ্রেফতার হন দুই প্রধান নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া। এই আমলেই দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে বন্দী বিএনপি নেত্রী।
এ প্রসঙ্গে সমাবেশে অংশ নেয়া বিএনপির এক সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা যাওয়ার আগ মূহূর্ত পর্যন্ত জানতাম না কারা সেখানে থাকবেন। যাওয়ার পর আমরা দেখেছি ব্যারিস্টার মঈনুল রয়েছেন। আমরা ড. কামাল হোসেনের আমন্ত্রিত অতিথি ছিলাম। অন্যরাও ড. কামাল হোসেনেরই অতিথি ছিলেন।
এদিকে,সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ‘বহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চাপের মুখে পড়েছে এক যুগ ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে থাকা বিএনপি
বিএনপিকে এখন তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এগুলো হলো- সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন করা, রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনা এবং জামায়াতে ইসলামী-সংক্রান্ত জটিলতার ইতিবাচক সমাধান করা, যাতে জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি না হয়।
অবশ্য ঐক্য গড়ার অভিপ্রায়ে বড় ধরনের ছাড় দিয়ে হলেও সংকট সমাধানের চেষ্টা করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। এ লক্ষ্যে দফায় দফায় বৈঠকও করছেন তারা।